বেগম জিয়ার মুক্তি দাবি যেন মামাবাড়ির আবদারঃ কাদের
সিটি নিউজ ডেস্কঃ সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতারা নির্বাচনের জন্য বেগম জিয়ার মুক্তির শর্ত দিচ্ছে। কার কাছে শর্ত দিচ্ছেন? কে তাকে মুক্তি দেবে? কে তাকে দণ্ড দিলো? আদালতে যান।
তিনি বলেন, সরকারের কাছে শর্ত দিয়ে লাভ নেই। সরকার তাকে জেলে নেয়নি, সরকার তাকে দন্ড দেয়নি, সরকার তাকে মুক্তি দিতে পারে না। আদালতের সিদ্ধান্তই হচ্ছে তার মুক্তির বিষয়ে শেষ কথা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখানে সরকারের কোনও করণীয় নেই। সরকারের কাছে বেগম জিয়ার মুক্তি দাবি “মামাবাড়ির আবদার”। এই আবদারটা না করলেই হয়, এটা অপ্রয়োজনীয়, অপ্রাসঙ্গিক। অবাস্তব। আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এটা সম্পূর্ণভাবে আদালতের এখতিয়ার।
খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে চিকিৎসা করানোর বিষয়ে বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এই দাবিটা বিএনপি করুক। যদি জেল কোড অনুযায়ী তার চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর প্রয়োজন হয় তাহলে পাঠাবে।’
আজ সোমবার (১১ জুন) সন্ধ্যায় ঢাকার লেডিস ক্লাবে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ সমস্ত কথা বলেন তিনি।
লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের সঙ্গে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। এটা নিয়ে মন্তব্য নেই। মন্তব্য হচ্ছে, পলাতক দন্ডপ্রাপ্ত আসামির সঙ্গে দেখা করা কি গণতন্ত্র? পলাতক আসামি কি কোনও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হতে পারেন?’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের নিজ আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, মওদুদ সাহেব আমার নির্বাচনি এলাকায় গিয়ে কিছু কথা বলেছেন। তার দল সেখানে দু-তিন ভাগে বিভক্ত।
তিনি গেলেই সেখানে মারামারি অনিবার্য। তার ঘরের মধ্যে দু’পক্ষ মারামারি করে। এখন পুলিশ দিয়ে তার নিরাপত্তা দিতে গেলে বলে পুলিশ নাকি তাকে ঘিরে রাখে। অনেক দিন পেছন পথে এলাকা ত্যাগ করেছেন তিনি।মওদুদ সাহেব ঢাকার পল্টনের অফিসে বসে মিথ্যাচার করেন, মিথ্যাচারের রাজনীতি করেন।
মওদুদ আহমদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ২২ বছরে দুটি কাজও করেননি যেটা মনে করে আপনাকে এলাকার লোক ভোট দিতে পারেন। এলাকার লোকজন আপনার প্রতি ক্ষুব্ধ। আপনি দলের লোকদের বিভক্ত করে রেখেছেন।
তিনি বলেন, মারামারি হয়, পুলিশ আপনাকে নিরাপত্তা দিতে যায়, সেখানে আপনি গণতন্ত্রের ওপর দোষ চাপান। আপনি সারাজীবন মিথ্যাচারের রাজনীতি করেছেন। এবার মিথ্যাচারের রাজনীতি বন্ধ করুন।