এতিমের সম্পদ আত্মসাৎ করলে প্রায়শ্চিত্ত করতে হয়-নওফেল

সিটি নিউজ,চট্টগ্রাম : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চট্টলবীর আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সুযোগ্য পুত্র ব্যরিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এতিমের সম্পদ আত্মসাৎ করাটা পাপ। পাপ করলে তার প্রায়শ্চিত্ত করতে হয়। এতিমখানার নাম দিয়ে কোটি কোটি টাকা অনুদান নিয়ে সেই টাকা পুত্রের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে তিনি যে অন্যায় করেছেন সেজন্য আজকে তাকে শাস্তি পেতে হচ্ছে।

পাপ বাপকেও ছাড়ে না। তিনি যদি জিয়া অরফানেজ চ্যরিটেবল ফান্ডের নামে বিদেশ থেকে টাকা এনে এদেশে কোথাও একটি এতিমখানা নির্মাণ করতেন এবং সেখানে দুস্থ ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়া এবং বাসস্থানের ব্যবস্থা করতেন আজকে তাকে অর্থ আত্মসাৎ এর মামলায় আসামী হতে হত না। পরের টাকায় বেগম জিয়া বিলাসী জীবন যাপন করেন। উনি যদি অসুস্থ হয় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সরকারি ব্যবস্থাপনায় উনার চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে। কিন্তু তিনি তা করবেন না।

বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে বিলাসবহুল চিকিৎসা নিবেন। তার সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অনেক পার্থক্য। জননেত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ জীবন যাপন করেন। পোষাক আশাকে খাদ্যাভাসে অত্যন্ত সাধারণ। পক্ষান্তরে বেগম জিয়া উনার নির্ধারিত খাদ্য তালিকা, প্রসাধনী, গৃহ পরিচালিকা চলতে পারে না। ১/১১ এর সময়কালে কারান্তরীন দুই নেত্রীর মধ্যে সুযোগ সুবিধার বিষয়ে ব্যপক বৈষম্য ছিলো। জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়েছিল।

বিশিষ্ট সমাজ সেবক, রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব ফরিদ মাহমুদ এর উদ্যোগে নগরীর ২৪নং উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডে সমবেত নারী পুরুষদের মাঝে ঈদ উপহার স্বরূপ শাড়ী লুঙ্গি বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

সভার শুরুতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ স্বপরিবার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা , প্রয়াত নেতা আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। ২৪নং আগ্রাবাদ ওয়ার্ডস্থ মনসুরাবাদে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য যুবনেতা আকরাম হোসেন সবুজের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জননেতা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সহ সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দিন চৌধুরী, এড. সুনীল কুমার সরকার।

আলোচনায় অংশ নেন সমাজ সেবক, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব ফরিদ মাহমুদ, হালিশহর থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক, সাবেক কাউন্সিলর আলহাজ্ব ফয়েজ আহমদ, ২৪নং উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জাকারিয়া, চসিক সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ফারহানা জাবেদ, নগর আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ সদস্য এস এম সাঈদ সুমন, আবদুর রাজ্জাক দুলাল, শেখ নাছির আহমেদ, নগর ছাত্রলীগ সহ সভাপতি জয়নাল উদ্দিন জাহেদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা আবদুস সামাদ, যুবনেতা আশরাফুল গণি, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ সদস্য দেলোয়ার হোসেন দেলু, ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আবদুর রহিম শামীম, নগর ছাত্রলীগ সহ সভাপতি নাজমুল হাসান রুমি, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন মানিক, নগর ছাত্রলীগ সহ সম্পাদক রাহুল দাশ, শহীদুল ইসলাম শহীদ, যুবনেতা অলিউর রহমান সোহেল, আলাউদ্দিন শিপু, সৈয়দ আবুদর রহমান শাহজাদা, মনজুর আলম রিমু, আনিসুর রহমান মামুন, শাহেদুল ইসলাম শাহেদ, আশরাফুল ইসলাম সিদ্দিকী। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের রূপ পাল্টে দেবে। তিনি এমন কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছেন সেইসব গৌরবের অধিকারী অতিতে কখনো আমরা ছিলাম না।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপন, নৌবাহিনী তে সাবমেরিন সংযোজন, কর্ণফুলী টার্নেল নির্মাণ, ঢাকা সিটি মেট্রো রেল এই ধরনের মেগা প্রকল্প শেখ হাসিনার আমলে প্রথম। দেশকে সমৃদ্বির পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য আগামী দশকের শেখ হাসিনা যে পদক্ষেপ নিবেন তা বাঙালি জাতিকে অর্ধশতাব্দীতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। চলমান মাদক বিরোধী অভিযান বেস্তে দিতে মহল বিশেষ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। মাদকের ভয়াবহতা থেকে অমাদের জাতিকে রক্ষা করতে হবে। সভা শেষে বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব ফরিদ মাহমুদের উদ্যোগে সমবেত নারী পুরুষদের মাঝে ঈদ উপহারস্বরূপ শাড়ী, লুঙ্গি তুলে দেন প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি সহ নেতৃবৃন্দ।