চট্টগ্রামে বসবাসের অযোগ্য এক জনপদ আগ্রাবাদ হালিশহর

0

জুবায়ের সিদ্দিকী/দিলীপ তালুকদারঃ জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে সয়লাব আগ্রাবাদ হালিশহরের বিস্তীর্ণ এলাকা। জোয়ার আসে যায়। পাঠায় আবর্জনা ও দুগন্ধ। রয়েছে ভাঙ্গা সড়কের ভোগান্তি। নিত্য দুর্ভোগে বসবাসের অযোগ্য এক জনপদ।

পোর্ট কানেকটিং রোড ও আগ্রাবাদ একসেস রোডের চিত্র ভয়াবহ। আগ্রাবাদ একসেস রোডের এক পাশ ব্যবহার হলেও অন্যপাশ ব্যবহার অনুপযোগী। জোয়ারের পানির কারনে আগ্রাবাদ হালিশহরের বিস্তীর্ণ জনপদের নিচ তলা বাসাবাড়ীগুলো পানিতে ডুবে খাকছে। এতে পুরো এলাকার ময়লা আবর্জনা আটকে দুর্গন্ধময় পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। দেখা দিয়েছে রোগ বালাই। জন্ডিস, টাইফয়েট, হ্যাপাটাইটিস-ই-বি, কলেরাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। ওয়াসার পানিতে আসছে ময়লা আবর্জনা ও দুর্গন্ধ যা ব্যবহারের অযোগ্য।

শিশুরা রাস্তাদিয়ে হাটতে গিয়ে পানিতে থাকা বিভিন্ন রোগজীবানুদ্ধারা আক্রান্ত হচ্ছে। ঈদের বন্ধের পর স্কুল কলেজ খোলা হলে আরো ভয়ানক অবস্থা হবে এসব এলাকার অধিবাসীদের। মনে হচ্ছে এই এলাকায় কোন অভিভাবক নেই।

আগ্রাবাদ ব্যাপারী পাড়ার এক বাসিন্দা জানান, আকাশে বাসাতে প্রচন্ড গন্ধ, জোয়ারের পানি, বেহাল সড়ক, ভাটায় ফেলে যাওয়া আবর্জনার স্তুপ, বিধ্বস্ত স্যুয়ারেজ নিয়ে এক নরক জন্ত্রনায় হাজার হাজার মানুষ এ সভ্য জগতের নগরে অমানবিক পরিস্থিতির শিকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

চসিক ও সিডিএর রশি টানা টানিতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। জনগনের ট্যাক্সের টাকায় যে সব প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় সেসব প্রতিষ্ঠানের হাম খেয়ালিপনা, দায়িত্বহীণতা, উদাসীনতা সাধারণ জনগনকে ফেলেছে চরম ভোগান্তিতে।

সিডিএ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা্ জহির সাহেব জানান, সিডিএ আবাসিক এলাকার চিত্র ভয়াবহ। জোয়ার ভাটার সাথে নিজেদের কর্মপন্থা ও সাংসারিক জীবনের রুটিন করতে হয়। রিক্সা ভাড়া ২০ টাকার স্থলে ১০০ টাকা গুনতে হয়।

দিনে ও রাতে বাসিন্দাদের গৃহবন্দী অবস্থায় থাকতে হয়। সিডিএর নামে গড়া সিডিএ আবাসিক এলাকা যেন সভ্য সমাজ ও সরকারকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে যেন দেখিয়ে দিতে পারছে না এ যেন এক যুদ্ধ বিধ্বস্ত নগরীর এক গুরুত্বপূর্ণ আবাসিক নগরী।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.