কুড়িগ্রামে কমছে পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ

0

সিটিনিউজবিডি : কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার ও চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বৃহস্পতিবার সকালে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ১৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া নুনখাওয়া পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে, বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ৯ উপজেলার ৬৩ ইউনিয়নের সাড়ে পাঁচশ’ গ্রাম। জেলার সাড়ে ৯শ’ বর্গকিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হওয়ায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৫ লক্ষাধিক মানুষ।

এছাড়া ৯ উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমির আমন বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
কাঁচা-পাকা সড়ক প্লাবিত হওয়ায় এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বসতভিটা ছেড়ে উচু বাঁধ ও সড়কে আশ্রয় নিয়েছে। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি পশু খাদ্যেরও তীব্র সংকট রয়েছে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার চরশীতাইঝাড় গ্রামের আবুল হোসেন বলেন, ‘বন্যার পানি নামতে না নামতেই আবারও বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছি। বন্যার কারণে ১২-১৩ দিন ধরে দুর্ভোগে আছি। কেউ আমাদের খোঁজ নেয় নাই। খাবার নাই, কাজও নাই। খুব কষ্টে আছি।’
চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের মদনমোহন গ্রামের এলাকার বাসিন্দারা ১৪-১৫ দিন ধরে পানিবন্দী রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তারাও কোনো সাহায্য পাননি বলে অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার এলাকায় তিন হাজার পরিবার এখনো পানিবন্দী। আড়াই শ’ পরিবার নদী ভাঙনের শিকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ত্রাণের দুই মেট্রিক টন চাল পেয়েছিলাম। এসব চাল দুই শতাধিক মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।’

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা বলেন, ‘চিলমারী উপজেলার জন্য নতুন করে আরও ৩০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পেয়েছি। এসব চাল বিতরণের কাজ চলছে।’

জেলা প্রশাসন থেকে বানভাসী মানুষের জন্য এ পর্যন্ত প্রায় দুই শ’ ৫০ মেট্রিক টন চাল ও আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা এখনো বিতরণ শেষ হয়নি। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় অনেক বানভাসীর ভাগ্যে ত্রাণ জোটেনি বলে অভিযোগ ওঠেছে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন জানান, জেলা প্রশাসন থেকে বন্যার্তদের জন্য নতুন করে ৫০০ মেট্রিক টন চাল ও ১০

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.