পিজিআর’র সেবার কথা চিরজীবন মনে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী

0

সিটি নিউজ ডেস্ক :: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিজিআর ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আমার জন্য আপনারা যে কষ্ট করেছেন তাতে আপনাদের কথা আমার চিরজীবন মনে থাকবে। যে কোনো পরিবেশে অত্যন্ত কষ্ট করে কাজ করেন আপনারা। আমার সঙ্গে চলার কারণে আপনারাও ঝুঁকির মধ্যে থাকেন।

আজ বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) দুপুরে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামনে ভোট, জনগণ ভোট দিলে হয়তো সরকার গঠন করবো, না হলে নেই। সরকারে আসি আর না আসি আপনাদের জন্য দোয়া থাকবে। যেহেতু আপনারা শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সেহেতু নির্দেশ মেনে শৃঙ্খলা বজায় রেখে কাজ করবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করেছি ২০২০ সালের জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী আমরা পালন করব, এই সময়ের মধ্যেই আমরা দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করে গড়ে তুলতে চাই।’

উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উত্তরণকে ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ। সেই পরিকল্পনা নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’

তাঁর শাসনামলে দেশের সকল প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রতিটা প্রতিষ্ঠানই নিজ নিজ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এই উন্নয়নে অবদান রেখে যাচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, আমাকে হেনস্তা করার জন্য, দুর্নীতিবাজ বানানোর জন্য অনেক চেষ্টা চলেছে। শেষ পর্যন্ত ব্যাংকের একটা এমডি পদের জন্য জাতীয় স্বার্থের বিরোধিতা করেছে কেউ কেউ। তাদের ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেছে। দুর্নীতি তারা প্রমাণ করতে পারেনি। দুর্নীতি করে নিজের ভাগ্য গড়তে আসিনি। এসেছি মানুষের ভাগ্য গড়তে। মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে পিজিআর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর হারুন স্বাগত বক্তৃতা করেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী পিজিআর সদর দপ্তরে পৌঁছলে রেজিমেন্টের কোয়ার্টার গার্ডে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং পিজিআর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর হারুন তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।

প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত সকল অফিসার, জুনিয়র কমিশন্ড অফিসারদের সঙ্গে এবং কুশলাদি বিনিময় করেন।

অনুষ্ঠানে একটি সুসজ্জিত গার্ড রেজিমেন্ট প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে রেজিমেন্টে কর্মরত অবস্থায় নিহত, শহীদদের স্বজনদের উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন এবং অনুদান হস্তান্তর করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান, প্রতিরক্ষা সচিব আখতার হোসেন ভূইয়া, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মো. জয়নুল আবেদীন, বীর বিক্রম ও প্রেস সচিব ইহসানুল করিমসহ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.