সিটিনিউজবিডি : সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা যায়, বাংলাদেশের ৭৭ ভাগ নারীর বিয়ে হয় ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগে। আর নিরাপত্তাহীনতার কারণে বাল্য বিয়ের প্রবণতা বেশি বলে আগে যে ধারণা করা হতো, নতুন গবেষণায় তার পক্ষে তথ্য পাওয়া যায়নি।
নতুন জরিপে জানা গেছে, যোগ্য ও পছন্দসই পাত্র হাতছাড়া না করতেই বাংলাদেশে অভিভাবকরা ১৮ বছরের আগেই মেয়েদের বিয়ে দেন বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি আয়োজিত ‘বাংলাদেশে বাল্য বিবাহ পরিস্থিতি ও প্রতিকার কৌশল’ শীর্ষক সেমিনারে ওই গবেষণার তথ্য প্রকাশ করা হয়।
বাল্য বিয়ে নিয়ে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় পরিচালিত জরিপের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অব মালায়ার শিক্ষক এম নিয়াজ আসাদুল্লাহ ও ইউনিভার্সিটি অব কেন্টের শিক্ষক জাকি ওয়াহহায।
গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, বাংলাদেশের ৭৭ ভাগ নারীর বিয়ে হয় ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে। এমন কি ২৪ ভাগ নারী ১৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে বিয়ের পিঁড়িতে বসে। এর মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশ নারী বলেছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
অন্যদিকে ৭২ শতাংশ নারী বলেছেন, তাদের অভিভাবকেরা ‘সুপাত্র পাওয়া গেছে’ মনে করে তাদেরকে অল্প বয়সে বিয়ে দেন।
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সংসদ সদস্য মাহবুব আরা গিনি বক্তব্য রাখেন।
মাহবুব আরা গিনি বলেন, বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে সরব থাকার পাশাপাশি স্কুল-কলেজগামী মেয়েদের অন্যান্য সমস্যাগুলোকেও গুরুত্ব দিতে হবে।
”অনেক মেয়ে জানেই না কেন তার বিয়ের বয়স ১৮ হওয়া উচিত। এর আগে বিয়ে কিংবা যৌনকর্মে জড়ালে কী কী সমস্যা হতে পারে। এসব বিষয়ে তাদেরকে নলেজ দিতে হবে। শুধু বাল্য বিয়ের বিরোধিতায় সমস্যার সমাধান হবে না।”