স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের দাবীতে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন বৃহত্তর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখা চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে একের পর এক অপ্রীতিকর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়ে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) স্বাস্থ্যখাতে সেবাবান্ধব সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াছ হোসেনের মাধ্যমে স্মারকলিপিটি দেওয়া হয়।

সংগঠনের সভাপতি আমিনুল হক বাবুর নেতৃত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান খান, যুগ্ম সম্পাদক এমদাদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান উল্লাহ বাহার,চট্টগ্রাম মহানগরের দপ্তর সম্পাদক জাহিদ তানছির,আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু আনিছ খান,অ্যাডভোকেট রিগ্যান আচার্য্য,স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক দীপক কান্তি বড়ুয়া,বখতিয়ার উদ্দিন প্রমুখ।

এ সময় আমিনুল হক বাবু বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলা ও আন্তরিকতার অভাবে অকালে ঝরে যায় আড়াই বছরের শিশু রাইফার প্রাণ।

এর আগেও জীবিত কন্যা শিশুর বদলে অন্য ছেলের মরদেহ দেওয়া,নবজাতকের মরদেহ সিটি করপোরেশনের আবর্জনার গাড়িতে ছুড়ে ফেলাসহ চট্টগ্রামে লোকচক্ষুর অন্তরালে ঘটে যাওয়া চিকিৎসা সংক্রান্ত নানা অসঙ্গতি,অব্যবস্থাপনাসহ কিছু চিকিৎসকের ভুলভ্রান্তির কারণে সমগ্র চিকিৎসক সমাজের প্রতি মানুষের আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। মানবাধিকার কর্মীরা এসব বিষয় গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা প্রধানমন্ত্রী বরাবর পেশ করেছেন।

তিনি জানান,স্মারকলিপীতে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবার অধিকার এবং প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ ও রোগীদের স্বার্থ সংরক্ষণে যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন,চিকিৎসাসেবায় নিগৃহীত জনগণ যাতে সহজে অভিযোগ সরকার-প্রশাসনের নজরে আনতে পারে সেজন্য হটলাইন চালু করা,

চিকিৎসকদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজন অনুপাতে প্রশিক্ষিত নার্স এবং অন্যান্য কর্মচারী নিয়োগ, চিকিৎসক কর্তৃক দৈনন্দিন সর্বোচ্চ রোগী দেখার সংখ্যা নির্ধারণ,চিকিৎসা ব্যয় সর্বসাধারণের আয়ত্তে রাখতে চিকিৎসকদের ক্যাটাগরি অনুযায়ী যথাযথ ফি নির্ধারণ,

সর্বক্ষেত্রে চিকিৎসাসেবার মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা, প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার মূল্য তালিকা জনসমুখে প্রদর্শন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবাকে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য আরও সহজলভ্য করে তোলা,

কর্মরত চিকিৎসকদের আবাসন ব্যবস্থাসহ আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে (বিএমডিসি) শক্তিশালী করে তৃণমূল পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্ত রোগীদের অভিযোগ প্রদান ও নিষ্পত্তির সুযোগ সৃষ্টির প্রয়াস,

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর-সিভিল সার্জন-ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর-জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে টিম গঠন করে নিয়মিতভাবে সরকারি/বেসরকারি হাসপাতাল,ডায়াগনস্টিক সেন্টার,ফার্মেসিসহ সব পর্যায়ের

চিকিৎসাকেন্দ্রগুলো ধারাবাহিকভাবে নজরদারির মধ্যে রেখে স্থায়ীভাবে চিকিৎসা ক্ষেত্রে জনআস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.