রাউজানে এক প্রবাসীর বদান্যতায় ২০ পরিবার পেল ঘর
নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজানঃ আসমানী কবিতার মতো যে হত দরিদ্র পরিবারে অল্প বৃষ্টিতেই পানি গড়িয়ে পড়ে এমন বিশটি পরিবারকে নিজ অর্থায়নে বিশটি দুই কক্ষ বিশিষ্ট পাকা ঘর তৈরী করে দিচ্ছেন চট্টগ্রামের রাউজানের ১০ নং পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের আশেয়া বিবির বাড়ির মরহুম ওহাব মিয়ার পুত্র ওমান প্রবাসী ব্যাবসায়ী সামশুল আজিম আনচার।
এলাকায় একজন দানশীল ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত এই প্রবাসী ব্যাবসায়ী সম্প্রতি বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে সরকারের (সিআইপি) সর্যাদা পেয়েছেন। নিজ অর্থায়নে এলাকায় মসজিদ, সড়ক এবং এতিমখানায় দ্বিতল ভবন নির্মাণ ছাড়াও গরীব, দুঃখী ও অসহায় মানুষদের অকাতরে সহযোগিতার জন্য এলাকায় সুনাম আছে এই প্রবাসী ব্যাবসায়ীর।
সিটি নিউজের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করে আসছি যাতে করে এলাকার অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানো যায়। সেই লক্ষ্যেই এলাকার পাশে জমি ক্রয় করে দুইকক্ষ বিশিষ্ট ২০টি ঘর তৈরী করে এলাকার অতি দরিদ্র মানুষদের সমাজে মাথা গোঁজার একটা ব্যাবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছি।
যেখানে পরিবারগুলোর ব্যাবহারের জন্য একটি পুকুর থাকবে। এবং তাদের পরিবারগুলোর সন্তানেরা যাতে চিত্ত-বিনোদনের সুযোগ পায় সেজন্য কিছু খোলা জায়গা উন্মুক্ত রাখা হবে। পরবর্তীতে নিজ এলাকা ছাড়াও আশপাশের এলাকার দরিদ্র পরিবারগুলোর জন্যও এই উদ্যোগ অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবো। যাতে রোদ-ঝড়-বৃষ্টিতে মানুষ অন্তত পরিবার নিয়ে নিশ্চিন্তে থাকার সুযোগ পায়।
ওমান প্রবাসী ব্যাবসায়ী সামশুল আজমের এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে এলাকার বিশটি হত-দরিদ্র পরিবারের মুখে হাসি ফুটবে এমনটাই মনে করেন একই এলাকার যুবক মোহাম্মদ আলাউদ্দীন।
ওমান প্রবাসী ব্যাবসায়ী সামশুল আজিম আনচার, এ প্রতিবেদককে জানান, ভবিষ্যতে আমার স্বপ্ন আছে এলাকার যুব সমাজকে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কিছু একটা করার। যাতে তারা কিছু একটা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। তাতে করে একজন যুবকের মাধ্যমে একটি পরিবারের দারিদ্রতা ঘুচে যাবে। সবার দোয়া থাকলে আমার এই স্বপ্নটাও একদিন পূরণ করবো।