বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পুরষ্কার পেলেন ফজলে করিম

0

নেজাম উদ্দিন রানা :: বৃক্ষরোপনে সারা দেশের মধ্যে সেরা উপজেলা নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০১৭ লাভ করেছেন রাউজানের সাংসদ, রেলপথ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এম.পি।

১৮ জুলাই বুধবার বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা ২০১৮ এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও মাসব্যাপী বৃক্ষমেলা ২০১৮ উদ্বোধন অনুষ্টানে বৃক্ষরোপনে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্টত্ব অর্জনের স্বীকৃতিসরূপ রাউজানের সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরীর  হাতে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০১৭ প্রদান করেন।

বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পুরষ্কার পেলেন ফজলে করিম

পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী আসিনুল ইসলাম মাহমুদ, প্রতিমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, সংসদীয় কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন পদক ২০১৮, জাতীয় পরিবেশ পদক-২০১৮ এবং বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০১৭ প্রদান, সামাজিক বন বিভাগের উপকারভোগীদের লভ্যাংশের চেক তুলে দেওয়া ছাড়া্ও মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের স্মরণে সারাদেশে একযোগে ৩০ লাখ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বাঁচাতে বৃক্ষরোপনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে প্রত্যেককে একটি করে বনজ, ফলজ ও ঔষধি গাছ লাগানোর আহবান জানান। অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে একটি গাছ লাগান।

উল্লেখ্য ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই প্রকৃতির বৈরিতা উপেক্ষা করে রাউজানের প্রত্যন্ত এলাকায় এক ঘন্টায় ৪ লক্ষ ৮৭ হাজার ৫৪০ চল্লিশটি ফলদ গাছের চারা রোপণ করে ইতিহাস রচনা করেছিল আধুনিক রাউজানের রূপকার, রেলপথ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এম.পি। সেদিন সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে এক অসম্ভবকে সম্ভব করেছিল রাউজানবাসী। এক ঘন্টায় পাঁচ লক্ষের কাছাকাছি বৃক্ষরোপনের মহাযজ্ঞ সম্পাদন করে সেদিন বিশ্বের বুকে একটি নজির সৃষ্টি করেছিল রাউজানের লক্ষ লক্ষ মানুষ। রাউজান পৌর সভার ৯টি ওয়ার্ড এবং উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে উৎসবমুখর পরিবেশে সেদিন বৃক্ষরোপনে অংশ নিয়েছিল সব শ্র্রেণীপেশার মানুষ। গত বছরের ২৫ জুলাই রোপন করা লক্ষ লক্ষ চারাগাছ আজ ডালপালা মেলে বড় হয়ে রাউজানকে সত্যিকার অর্থে গ্রিণ সিটিতে রূপান্তর করেছে। এক ঘন্টায় ৪ লক্ষ ৮৭ হাজার ৫৪০ চল্লিশটি ফলদ গাছের চারা রোপনের ঘটনাটি স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে প্রত্যক্ষ করেছে দেশবাসীসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে থাকা কোটি কোটি মানুষ। যেটি গিনেক বুক অব ওয়ার্ল্ডে রেকর্ডের অন্তর্ভূক্ত হওয়ার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে।

গত ১১ জুন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সারাদেশের মধ্যে বৃক্ষরোপনে রাউজানকে সেরা উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করেছিল। ১৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তারই আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি গ্রহণ করেছে গ্রীণ রাউজানের রূপকার সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরী। সেই মাহেন্দ্রণের জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষমান ছিল রাউজানের আপামর জনতা।

বুধবার সকাল থেকেই উপজেলার মানুষ টিভিপর্দায় সরাসরি সম্প্রচারিত হওয়া অনুষ্টানের দিকে বুঁদ হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে শ্রেষ্টত্বের পুরষ্কার গ্রহণ করার সাথে সাথে রাউজানের মানুষকে উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে। স্থানীয় লোকজন বৃক্ষপ্রেমী একজন সাংসদের হাতে পৃরষ্কারটা দেখে গর্বিত মনে করছেন।

আজ বুধবার (১৮ জুলাই) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে  প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরষ্কার নেওয়ার পরপরই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরীর হাতে প্রধানমন্ত্রীর পুরষ্কার তুলে দেওয়ার ছবি। অগণিত মানুষ শুভেচ্ছা আর অভিনন্দনে সিক্ত করেন সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরীকে।

প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরষ্কার নেওয়ার পর পরই অনুষ্ঠানস্থলে সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান, রাউজান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি, রাউজান পৌরসভার দ্বিতীয় প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক উরকিরচর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়্যদ আব্দুল জব্বার সোহেল, যুবলীগ নেতা সুমন দে, যুবলীগ নেতা সারজু মোহাম্মদ নাসের, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ন আহবায়ক শওকত হোসেন, যুবনেতা জসিম উদ্দিন মুন্না, পৌরসভা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আসিফ, শোয়েব খান, মনির উদ্দিন তালুকদার, সুজন, ছোটপর্দার অভিনেতা মোজাহের খান।

এসময় সাংসদের একান্ত সহকারী নেছারুল বশর নিপূণ, সাংসদ পুত্র ফারাজ করিম চৌধুরী, ফারহান করিম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। 

পুরষ্কারপ্রাপ্তির অনুভূতি ব্যক্ত করে সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, বৃক্ষরোপনে সারাদেশের মধ্যে শ্রেষ্ট উপজেলার স্বীকৃতি লাভ অবশ্যই গৌরবের। এই পুরষ্কার পুরো রাউজানবাসীর। এই পুরষ্কারপ্রাপ্তি বৃক্ষরোপনে মানুষকে আরো বেশী অনুপ্রাণিত করবে। 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.