রাইফা মৃত্যুর ঘটনায় মামলা না নিলে অনশন করবেন বাবা রুবেল

0

চট্টগ্রাম : শিশুকন্যা রাইফার মৃত্যুর ঘটনায় চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার থানায় করা অভিযোগটি এখনো মামলা হিসেবে নেওয়া হয়নি। দুই দিনের মধ্যে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত না করা হলে পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে রাইফার বাবা আমরণ অনশন করবেন বলে জানিয়েছেন ।

বৃহস্পতিবার ১৯ জুলাই দুপুর ১ টায় রাইফার বাবা সাংবাদিক রুবেল খান সিটি নিউজকে আমরণ অনশন করবেন এ কথা জানান।

রাইফা মৃত্যুর ঘটনায় মামলা না নিলে অনশন করবেন বাবা রুবেল
রাইফা মৃত্যুর ঘটনায় মামলা না নিলে অনশন করবেন বাবা রুবেল

রুবেল খান বলেন, ভুল চিকিৎসা ও চিকিৎসকের অবহেলায় আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। যেটি তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। আমি এ ঘটনায় বুধবার চকাবাজার থানায় মামলা দায়ের করতে গিয়েছি। ওসি আমার অভিযোগ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই অভিযোগপত্র মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি।

তিনি বলেন,শুক্রবারের মধ্যে থানায় দায়ের করা অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করা না হলে আমি শনিবার থেকে পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে আমরণ অনশনে যাবো।

এর আগে গত ২৯ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ম্যাক্স হাসপাতালে রাইফা খান রাফিদার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার (১৮ জুলাই) নিহত রাইফার বাবা সাংবাদিক রুবেল খান ম্যাক্স হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে চকবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

এজাহারে অভিযুক্ত চারজন হলেন- ডা. বিধান রায় চৌধুরী (৫০), ডা. দেবাশীষ সেনগুপ্ত (৩২), ডা. শুভ্র দেব (৩২) ও ম্যাক্স হাসাপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. লিয়াকত আলী (৫৭)

এ সর্ম্পকে জানতে চাইলে চকবাজার থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন,‘রাইফার মৃত্যুর ঘটনায় বুধবার তার বাবা রুবেল খান থানায় মামলা করতে আসেন। আমরা তার অভিযোগ গ্রহণ করেছি। এ ঘটনায় তিনটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। ওই সব তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে রুবেল খানের অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হবে।’

উল্লেখ্য গত ২৮ জুন বিকেলে গলা ব্যাথার কারণে রাফিদা খান রাইফাকে ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ২৯ জুন রাতে রাইফার মৃত্যু হয়। চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার কারণে রাইফার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার। এই ঘটনায় ওই রাতেই ম্যাক্স হাসপাতালে গিয়ে অভিযুক্ত কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্সদের শাস্তি দাবি করেন সাংবাদিক নেতারা। এসময় সাংবাদিক নেতাদের দাবি মুখে পুলিশ কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে বিএমএ নেতাদের চাপের মুখে ওই রাতেই তাদের ছেড়ে দেয় থানা পুলিশ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.