চন্দনাইশে ১জন প্রতিবন্ধীর আহাজারি

0

নিজস্ব সংবাদদাতা, চন্দনাইশ :: উপজেলার উত্তর বরকল এলাকার শারীরিক প্রতিবন্ধী আবদুর রহিম বিচারের নামে হয়রানির অভিযোগ তুলেছে। চট্টগ্রামের ১টি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবদুর রহিম তার বর্গা দেয়া ২টি মহিষ একই এলাকার মৃত চুননু মিয়ার ছেলে আমির হোসেন বিক্রি করে দেয়।

এ ব্যাপারে রহিম বাদি হয়ে চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ৫ জুন আমির হোসেনকে আসামী  করে মামলা দায়ের করে। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামী আমির হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গত ১১ জুন সকালে আমির হোসেন, তার  ছেলে ও স্ত্রী তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবন্ধী রহিম, তার পিতা দেলোয়ার হোসেন, মাতা, ভাই নেজামকে মারধর করে আহত করে। এতে দেলোয়ার হোসেনের ২টি দাঁত পড়ে যায়।

এ ব্যাপারে রহিম বাদি হয়ে পরদিন ১২ জুন আমির হোসেন, তার স্ত্রী, ছেলেকে আসামী করে ৩২৫/৩০৭/৩২৬/৩৫৪/৩৮০ ধারাসহ আরও কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের করে। রহিমের ২টি মামলায় আমির হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলেও পুলিশ তাকে আটক করেনি বলে রহিম অভিযোগ করে। এ দিকে রহিমের মামলা থেকে বাঁচার জন্যে আমির হোসেন প্রতিবন্ধী আবদুর রহিম, তার পিতা দেলোয়ার হোসেন ও ছোট ভাই সরোয়ার নেজামকে আসামী করে  আদালতে গত ১৪ জুন অভিযোগ দেয়।

আদালত থানাকে অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করার আদেশ দেন। মামলাটি ২৮ জুন দঃবিঃ ৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩০৭/৩৪ ধারায় রুজু হওয়ার পর রহিম, তার পিতা,ছোট ভাইসহ গত ৮ জুলাই আদালতে আত্মসমর্পন করে। আদালত রহিমের পিতাকে জামিন দিয়ে রহিমও তার ছোট ভাই নেজামকে জেল-হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। ১৬ জুলাই প্রতিবন্ধী রহিমকে জামিন দিলেও তার ভাই নেজামকে জামিন দেননি। গ

ত ২৩ জুলাই রহিমের ছোট ভাই মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র নেজামকে জামিন না দিলেও তার চেয়েও অধিকতর অপরাধী রহিমের মামলার আসামী আমির হোসেন আত্মসমর্পন করলে আদালত তাকে জামিন দেন। অথচ আমির হোসেনের আঘাতে প্রতিবন্ধী রহিমের পিতা দেলোয়ার হোসেন ১১ দিন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং তার ২টি দাঁত পড়ে যায়।

তাছাড়া একই আদালতে প্রতিবন্ধী রহিমের দায়ের করা সি আর মামলায় আমির হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি থাকলেও সে মামলায় আমির হোসেনের জামিনের আবেদন না থাকলেও আদালত থাকে গ্রেফতারের  আদেশ না দিয়ে জামিনে মুক্তি দেয়।

বিষয়টি নিয়ে আদালত পাড়ায় আলোচনার ঝড় উঠে। রহিম ১জন প্রতিবন্ধী , আঘাত প্রাপ্ত হয়ে জেল কাটলেও তার চেয়ে অধিক গুরুতর অপরাধী আমির হোসেন মুক্তি পাওয়ায় প্রতিবন্ধী রহিম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.