সিলেটে কামরানকে জাপার সমর্থন

0

সিটিনিউজ ডেস্ক:: বরিশালের পর ভোটের দুই দিন আগে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে সমর্থন জানাল সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমেদ কামরানকে ‘উন্নয়নের’ স্বার্থে সমর্থন জানাল দলটি।

নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে এই সমর্থন ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী ক্ষমতাসীন দল।

প্রচারের শেষ দিন শনিবার দুপুরে মহানগরের একটি হোটেলে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেয়া হয়।

সোমবারের ভোটকে সামনে রেখে জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীর বিদ্রোহ যখন বিএনপিকে ভাবাচ্ছে, তখন ক্ষমতাসীন জোটে না থেকেও ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের শরিকের এই সমর্থন উৎফুল্ল করেছে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের।

বাংলাদেশে যেসব অঞ্চলে জাতীয় পার্টির কিছুটা হলেও অবস্থান আছে, তার মধ্যে সিলেটও আছে। তবে এই নির্বাচনে এখানে মেয়র পদে প্রার্থী দেয়নি দলটি। এবার বিএনপি-জামায়াতের আলাদা নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টির ভোট নৌকার বাক্সে পড়লে ভোটের চিত্র কী হয়, সেটি নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সিলেট জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক এটিইউ তাজ রহমান জানান, জাতীয় পার্টি সিলেটের সার্বিক উন্নয়নের কথা বিবেচনা করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কামরানকে সমর্থন করছে।

বিকালে জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতারা কামরানের নৌকা মার্কার পক্ষে গণসংযোগ চালাবেন বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

জাতীয় পার্টির নেতা তাজ রহমান বলেন, ‘দেশের চলমান উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং একটি আধুনিক সিলেট সিটি গড়তে চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নির্দেশে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কাজে নামবে জাতীয় পার্টি।’

জাতীয় পার্টির সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন, জাতীয় পার্টির সিলেট মহানগর আহ্বায়ক ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া, জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক ইশরাকুল ইসলাম শামীম, জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি একে আবদুল মোমেনসহ জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

কামরান এই ভোটে লড়ছেন বিএনপির সদ্য বিদায়ী মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে। সেখানে মেয়র প্রার্থী হিসেবে আরও আলোচনায় আছেন জামায়াতের এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।

২০১৩ সালের সব শেষ নির্বাচনে আরিফুল হক চৌধুরী এক লাখ ৭ হাজার ৩৩০ ভোট পেয়ে জিতেছিলেন। এর আগে ১৮ বছর মেয়র ও পৌর চেয়ারম্যান থানা কামরান পেয়েছেন ৭২ হাজার ১৭৩ ভোট।

এবার আলাদা নির্বাচন করা জামায়াতে ইসলামীর নেতারা দাবি করছেন, এখানে তাদের নিদেনপক্ষে ৩৫ হাজার ভোট আছে। এর বাইরে সাম্প্রতিক বিভিন্ন সিটি নির্বাচনে চমক সৃষ্টি করা ইসলামী আন্দোলনের মোয়াজ্জেম হোসেন খান কত ভোট পান, সেটিও আরিফুল ও কামরানের জয় পরাজয়ের নির্ণায়ক হতে পারে। জুবায়ের বা মোয়াজ্জেম প্রার্থী না হলে এই ভোট ধানের শীষের বাক্সেই পড়তে পারত।

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী দিলেও দলের মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, সেখানেও তারা আওয়ামী লীগের সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে সমর্থন দিয়েছেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.