কেএসআরএম’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত কুচক্রীমহল
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম :: বাড়বকুণ্ডে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে স্বনামধন্য একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার ষড়যন্ত্রে মেতেছে চিহ্নিত একটি কুচক্রীমহল। এ জন্য তারা এলাকার কিছু সন্ত্রাসীকে ব্যবহার করে, কিছু মানুষকে ভুক্তভোগী সাজিয়ে ভুয়া সংবাদ সম্মেলনও করেছে এ অবস্থায় প্রকৃত সত্য তুলে ধরতে তাৎক্ষকিভাবে বাগান মালিক সমিতি এবং এলাকাবাসী এই সংবাদ সম্মেলন আহবান করেন।
বাগান মালিক সমিতি ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্বনামধন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম’র সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে একটি বিশেষ মহল নানাভাবে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে কিছু মানুষকে ভুক্তভোগী সাজিয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেছে। এ অবস্থায় প্রকৃত সত্য তুলে ধরতে তাৎক্ষণিকভাবে বাগান মালিক ও এলাকাবাসী সংবাদ সম্মেলন করে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সীতাকুণ্ড বাগান মালিক সমিতির সহ-সভাপতি নিজাম উদ্দিন, শান্তি শৃঙ্খলা সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক- রহমত উল্লাহ, সদস্য- ইউসূফ, শাহাবুদ্দিন, সোহেল, জিয়া, এলাকাবাসীর প্রতিনিধি- কায়সার চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশের শীর্ষ স্থানীয় ও স্বনামধন্য শিল্প গ্রুপ কেএসআরএম লিমিটেড দীর্ঘদিন ধরে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বড় ভূমিকা রেখে চলেছে। এ শিল্প গ্রুপে হাজার হাজার শিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিতি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এতে অসংখ্য পরিবারের আর্থিক সংকট নিরসন হয়েছে।
কেএসআরএম গ্রুপ দেশের অর্থনীতির গতি সঞ্চার করতে, বর্তমান সরকারের শিল্পবান্ধব-জনবান্ধব নীতিকে এগিয়ে নিতে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে সীতাকুণ্ড ও বাড়বকুণ্ড এলাকায় বেশ কিছু শিল্প কারখানা স্থাপন করেছে। পাশাপাশি একাধিক শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড রয়েছে এ এলাকায়। এসব কারখানায় এলাকার হাজার হাজার বেকার যুবকের চাকরি হয়েছে। এতে তাদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তন ঘটেছে।
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, ২০১৬ সালে কেএসআরএম লিমিটেড তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য বাড়বকু-ের আনোয়ারা জুট মিলের ৪৫ দশমিক ৮৮ একর জায়গা হাইকোর্ট থেকে কিনে নেয়। এরপর কেএসআরএম কর্র্তৃপক্ষ সেখানে শিল্পায়ন শুরু করে। সেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানে এলাকার শত শত মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দুঃখের বিষয়, কালোটাকার মালিক একটি কুচক্রীমহলের জায়গাটির ওপর কুনজর পড়ে। তারা দখলে নেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগে। এ জন্য তারা নানা ধরনের ষড়যন্ত্র এবং স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী যারা বিভিন্ন সময় ঢাকা ট্রাংক রোড অবরোধ, গাড়ী ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ সহ বিভিন্ন মামলার আসামীদের ব্যবহার করে চাঁদা দাবী করে। কিন্তু কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ যেহেতু জায়গাটি সঠিক প্রক্রিয়ায় সরকারের কাছ থেকে নিয়েছে সে কারণে তারা কাউকে চাঁদা দেওয়া থেকে বিরত থাকে। এতে ওই মহলটি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসী এবং তাদের চাকরিজীবীদের দিয়ে প্রথমে কেএসআরএম এর নির্মিত সীমানা দেওয়াল রাতের আঁধারে ভেঙে দেয়। জায়গা দখলের জন্য ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে স্থানীয় কিছু নিরীহ মানুষকে টাকার বিনিময়ে কিনে নিয়ে ভুক্তভোগী সাজিয়ে গণ্যমাধ্যমে খবর আনার জন্য নানা ধরনের অভিযোগ তুলতে থাকে এবং বিভিন্ন সময় সংবাদ-সম্মেলন করে এতে সরকারী প্রশাসন, এলাকার সাধারণ মানুষ এবং দেশবাসী বিভ্রান্ত হয়ে আসছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ এই জায়গাটিতে শিল্প কারখানা স্থাপনের পর স্থানীয় হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে, চাকরি হয়েছে। অথচ গুটিকয়েক মানুষকে দিয়ে ওই মহলটি বারবার ষড়যন্ত্র করছে। ওই মহলটি কেএসআরএম এর সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে মিডিয়াতে প্রচার পাওয়ার জন্য ভুয়া সংবাদ সম্মেলন সাজিয়ে অভিযোগ তুলেছে যে, কর্তৃপক্ষ স্থানীয় জনগণের চলাচলের পথ বন্ধ করেছে। আমারা এলাকার বেশিরভাগ মানুষ আজ এখানে উপস্থিত আছি, আমরা হলফ করে বলতে পারি, এ তথ্যটি পুরোপুরি মিথ্যা। প্রকৃতপক্ষে কেএসআরএম কর্তৃপক্ষে জনচলাচলের কোনো পথ বন্ধ করেনি এবং কাউকে চলাচলে বাধাও দেয়নি। যেহেতু শিল্প প্রতিষ্ঠানটির হাজার কোটি টাকার সম্পদ ওই জায়গাটিতে রয়েছে, শিল্প কারখানা রয়েছে সেসবের নিরাপত্তার জন্য সেখানে কেবল দেওয়াল দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা তো স্থানীয় জনগণেরও দরকার। এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। সুতরাং চাঁদা না পেয়ে এবং জায়গা দখলের জন্য চিহ্নিত মহলের ষড়যন্ত্র অব্যহত আছে। ওরা সংবাদ সম্মেলন করে ত্রিশ হাজার লোকের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করেছে বলে যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। উক্ত ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ২৪-২৫ হাজার। এই সংখ্যক লোক কি এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে? প্রকৃত সত্য হলো ২০ হতে ২৫ জন লোক এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে।