জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে সেনাবাহিনীর সাথে সিডিএর বৈঠক

0

সিটি নিউজ : চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুন: খনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের চলমান কার্যক্রম নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সিডিএ’র মধ্যেকার বৈঠক রবিবার ৫ আগস্ট সকাল ১০টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন বিগ্রেড সদর দপ্তর দামপাড়ায় অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হয়।

সভায় খাল ও নালা সমূহ পরিষ্কার কাজের পাশাপাশি খাল সমূহের বি.এস/আর.এস এলাইনমেন্ট প্রস্তত করত: অপদখলীয় খাল/নালা সমূহ পুনরুদ্ধার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত ডিজাইন অনুযায়ী খাল সমূহের পাড়ে প্রতিরোধ দেয়াল এবং রাস্তা নির্মাসহ ডিপিপিতে উল্লেখিত কাজসমূহ বর্ষা মওসুমের পরে শুরু হবে মর্মে জানানো হয়। সভা শেষে চলমান কাজ সম্পর্কে সিডিএ চেয়ারম্যান এবং স্বশস্ত্র বাহিনীর প্রকৌশল প্রধান কর্তৃক সন্তোষ প্রকাশ করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার-ইন-চীফ জনাব সিদ্দিকুর রহমান সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সিডিএ চেয়ারম্যান জনাব আবদুচ ছালাম, ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন বিগ্রেডের মহাপরিচালক রেজাউল মজিদ সহ সিডিএ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন বিগ্রেড এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সিইজিআইএস-এর প্রকল্প সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে কর্মকর্তাগণ চলমান কার্যক্রম পরিদর্শনে বহদ্দারহাট, শমসের পাড়া এবং হাজিরপুল এলাকায় সরজমিনে পরিদর্শনে যান। প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শনকালে চউক চেয়ারম্যান বলেন, জাতির গর্ব বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক জলাবদ্ধতা নিরসনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যেহেতু অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তারা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন, তাই উক্ত প্রকল্পের সফলতা অবধারিত। তিনি তার আরো বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিপূর্ণভাবে সে সমস্ত খাল বা ড্রেন পরিষ্কার করা যাবে। এক্ষেত্রে এলাকার জনসাধারণ উক্ত পরিষ্কার ড্রেনে বা খালে ময়লা আবর্জনা নিক্ষেপ হতে বিরত থেকে তা রক্ষণাবেক্ষনে সহায়তা কামনা করেন।

এসময় আবদুচ ছালাম আরো বলেন, নগরবাসীর জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেগা প্রকল্পের অনুমোদন দেন। ইতিমধ্যে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। সেনাবাহিনীর মাধ্যমে প্রকল্পের কাজ সুষ্টভাবে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে চট্টগ্রামবাসী দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে পাবেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.