আমার মা খুব জ্ঞানপিপাসু ছিলেন: প্রধানমন্ত্রী

0

সিটি নিউজ ডেস্ক :: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার মা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা খুব জ্ঞানপিপাসু ছিলেন। লেখাপড়ার তেমন সুযোগ না পেলেও চিন্তা ভাবনায় তিনি খুব উচ্চমানের ছিলেন।

আজ বুধবার (৮ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার মা খুব জ্ঞানপিপাসু ছিলেন। তার খুব বই পড়ার অভ্যাস ছিল। আব্বার জন্য বই কিনতেন। লেখাপড়ার তেমন সুযোগ না পেলেও চিন্তা ভাবনায় তিনি খুব উচ্চমানের ছিলেন।

তিনি বলেন, আমার মা কখনই নাই শব্দটা বলতেন না। মায়ের মুখে কোনো সময় অভাব অনটনের কথা শুনতাম না। আমাদের কঠোর নির্দেশ দিতেন, ঘরে কোনো জিনিস না থাকলে নাই বলা যাবে না। ঘরে চিনি না থাকলে বলতেন, ফুরিয়ে গেছে, আনতে হবে। তিনি কখনই দৈন্য, অভাব-অনটন প্রকাশ করতেন না। কখনও হতাশা ছিল না তার মধ্যে।

তিনি আরও বলেন, মা অনেক উদারমনা ছিলেন। গরীবদের-দলের নেতাকর্মীদের সাহায্য করতে তিনি গহনা বিক্রি করে দিয়েছেন। বলতেন ডিজাইন পুরনো হয়ে গেছে তাই বিক্রি করে দিয়েছি, পরে নতুন বানাব। ঠাণ্ডা পানি খেলে গলা ব্যথা হয় এটা বলে ফ্রিজ বিক্রি দিয়েছিলেন। কিন্তু আমি বড় মেয়ে, সব বুঝতাম। মা রাজনৈতিকভাবেও ছিলেন দৃঢ়চেতা। রাজনীতিতে সময়মতো সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এ গুণটিও তার মধ্যে ছিল।

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৩০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে জাতির পিতা হত্যাকারীদের নিষ্ঠুর, বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়ে তিনিও শাহাদাত্বরণ করেন। শহীদ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মাত্র ৩ বছর বয়সে পিতা ও ৫ বছর বয়সে মাতাকে হারান। তার ডাক নাম ছিল রেণু।

পিতার নাম শেখ জহুরুল হক ও মাতার নাম হোসনে আরা বেগম। দাদা শেখ কাসেম চাচাতো ভাই শেখ লুৎফর রহমানের পুত্র শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে বেগম ফজিলাতুন্নেছার বিবাহ দেন। তখন থেকে বেগম ফজিলাতুন্নেছাকে শাশুড়ি বঙ্গবন্ধুর মাতা সাহেরা খাতুন নিজের সন্তানদের সঙ্গে মাতৃস্নেহে লালন-পালন করেন। গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে তিনি প্রাথমিক লেখাপড়া করেন। অতঃপর সামাজিক রীতি-নীতির কারণে গ্রামে গৃহশিক্ষকের কাছে লেখাপড়া করেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.