রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠাতে ইতিবাচক ট্রাম্প প্রশাসন

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ওয়াশিংটনভিত্তিক সংবাদপত্র ‘ডেইলি কলার’ সোমবার (১৩ আগস্ট) এক সংবাদে বলেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠাতে পারে।

রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফেরত আনার বিষয়ে উৎসাহব্যঞ্জক ইঙ্গিত পাওয়া গেছে বলে ডেইলি কলারকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী এবং যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ জিয়াউদ্দিন।

প্রসঙ্গত, রাশেদ চৌধুরী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন। শিকাগো, সিয়াটল, আটলান্টা এবং ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের বিভিন্ন শহরে তিনি অবস্থান করছেন বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, রাশেদ চৌধুরী ১৯৬৯ সালে সরকারি চাকরিতে যোগদান করার পরে ১৯৭৬ সালে দ্বিতীয় সচিব হিসাবে জেদ্দায় বাংলাদেশ মিশনের দায়িত্ব পান। তিনি নাইরোবি, কুয়ালালামপুর ও ব্রাসিলিয়া দূতাবাসে কর্মরত ছিলেন এবং ১৯৯৬ সালে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। ওই বছরেই রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেন।

এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ জিয়াউদ্দিন ২০১৪ সালে ইউএস নিউজ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্টে লিখেছিলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত একজন খুনি রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে আছে। এই বিচারহীনতা শেষ হতে হবে। রাশেদ চৌধুরীর দেশে ফেরত যাওয়ার সময় এখন।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী ২৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি জন ডে সুলিভানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ১ আগস্ট রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ জিয়াউদ্দিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক করেন।

এরপর রাষ্ট্রদূত ডেইলি কলারকে বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন এগিয়ে আসার কারণে আমাদের আশা এখন অনেক বেশি। এ বিষয়ে ট্রাম্পের মনোভাব খুবই পরিষ্কার।’ তিনি হতাশা প্রকাশ করে আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও এ বিষয়ে ওবামা প্রশাসন কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।’

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র এর আগেও বঙ্গবন্ধুর খুনি একেএম মহিউদ্দিনকে ২০০৭ দেশে ফেরত পাঠিয়েছিল।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.