শিশু রাইফার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল

0

সিটিনিউজ ডেস্ক:: চট্টগ্রামে বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় শিশু রাফিদা খান রাইফার মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে কেন যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অবহেলার ঘটনায় হাসপাতালসহ জড়িত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কেন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

এছাড়া, চিকিৎসা অবহেলায় বা ভুল চিকিৎসায় মারা গেলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য কেন নীতিমালা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল),বাংলাদেশ মেডিক্যাল এবং ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি, ম্যাক্স হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট তিন চিকিৎসককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রাইফার বাবা সাংবাদিক মোহাম্মদ রুবেল খানের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ এনাম। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যঅটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

প্রসঙ্গত, গলার ব্যথাজনিত কারণে  ভর্তি হওয়ার পর গত ২৯ মে ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় দুই বছর চার মাস বয়সী শিশু রাইফা। চিকিৎসকের অবহেলায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে এই অভিযোগে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে ঘটনার তদন্তে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকীকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠিত হয়।

কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন— চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম-সম্পাদক সবুর শুভ। কমিটিকে ৫ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

ওই কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়— শিশুটির রোগ নির্ণয়, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ওষুধ প্রয়োগ যথাযথ থাকলেও অভিযুক্ত তিন চিকিৎসক শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. বিধান রায় চৌধুরী, ডা. দেবাশিষ সেন গুপ্ত ও ডা.শুভ্র দেব শিশুটির রোগ জটিলতাকালীন কর্তব্যে অবহেলা করেছেন।

রাইফার যখন খিঁচুনি হয় তখন তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের ছিল না। এর আগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া প্রতিবেদনে ম্যাক্স হাসপাতালের নানা অনিয়ম ও ত্রুটি নিয়ে ১১টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। ১৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে লাইসেন্স নবায়নে ত্রুটি, হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর কোনও নিয়োগপত্র না থাকা, প্যাথলজি বিভাগ ও চিকিৎসকের কোনও তথ্য নেই বলে জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, শিশু রাইফার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৯ আগস্ট রিট দায়ের করেন তার বাবা মোহাম্মদ রুবেল খান।সেই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন আদালত।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.