ভয়েস কল ট্যারিফ নির্ধারন ভোক্তা স্বার্থ লঙ্ঘন-ক্যাব

0

নিজস্ব প্রতিবেদক:: বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ১৩ আগষ্ঠ দিবাগত রাত থেকে সেলফোন অপারেটরদের অননেট-অফনেট কলের ট্যারিফ সর্বনিম্ন ৪৫ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। কোন প্রকার পূর্বঘোষনা ছাড়া এ ধরনের ট্যারিফ নির্ধারন ভোক্তা স্বার্থ লংগন বলে মন্তব্য করে দেশে যেহেতু ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ প্রচলিত রয়েছে, সেহেতেু ভোক্তাদের স্বার্থ বিষয়ে যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহনে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয় দরকার।

তা না হলে সরকারই ভোক্তা সংরক্ষন আইন প্রতিপালন করছে না বলে প্রতিয়মান হবে। দেশের অধিকাংশ মানুষ যেহেতু মোব্ইাল অপারেটরদের সার্ভিস ব্যবহার করছে, সেকারনে ভোক্তাদের সাথে আলোচনা না করে এবং পূর্বঘোষনা না দিয়ে এ ধরনের একতরফা ট্যারিফ নির্ধারনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম নগর ও বিভাগীয় নেতৃবৃন্দ। বিটিআরসি কর্তৃক অভিন্ন ট্যারিফ নির্ধারণের প্রতিবাদে এক বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত দাবি জানান।

ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, একতরফা ট্যারিফ বাড়িয়ে ৪৫ পয়সা থেকে ২ টাকা করার কারনে সেল ফোন কোম্পানীগুলি এখন কম পয়সায় কথা বলার পরিবর্তে সর্বোচ্চ ট্যারিফ আদায়ে প্রতিযোগিতায় নামবে। সরকার ইন্টারনেটের ভ্যাট হ্রাস করার পরও অপারেটররা এখনও ট্যারিফ কমায়নি, সেখানে বিটিআরসি ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষনে কোন কার্যকর পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো ট্যারিফ বাড়ানোর পথপ্রসস্ত করে দেন। অন্যদিকে মোবাইল অপারেটরগুলির বিপুল সরকারী পরিমান রাজস্ব বকেয়া পরিশোধ করেনি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে বারবার তাগাদা দেবার পরও তারা কোন পদক্ষেপ না নিয়ে সরকারি রাজস্ব পরিশোধে বাড়তি অর্থ আহরনের জন্য গ্রাহকদের উপর বাড়তি চাপ কিনা সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ট্যারিফ নির্ধারনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশনের আদলে বিটিআরসিতে গণশুণাণীর মাধ্যমে সেবা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ, ভোক্তা প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করার দাবি দীর্ঘদিনের হলেও বিটিআরসিতে ভোক্তাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হয়নি। অধিকন্তু মোবাইল অপারেটর ও বিটিআরসি মিলে নিজেরা ট্যারিফ নির্ধারন ও এ খাতে নীতি প্রণয়ন করে থাকেন। যা একতরফা ও ভোক্তা স্বার্থ পরিপন্থী।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান প্রমুখ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.