নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস উদযাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সারাদেশের ন্যায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়।
সকাল ৯ টায় নগরীর সার্কিট হাউজ থেকে র্যালি বের করে নগরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এসে শেষ হয়।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান র্যালির উদ্বোধন করেন। র্যালিতে ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক, মুক্তিযোদ্ধা ও সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সুশীল সমাজের লোকজন অংশ নেন।
মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহিয়সী নারী বেগম ফজিলাতুনেছা মুজিবের শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসন জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি খোন্দকার গোলাম ফারুক, সিএমপি কমিশনার মো. মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার নূরেআলম মিনা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহাবুদ্দিন আহমেদ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ।
জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান, জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন, রেঞ্জ ডিআইজি খোন্দকার গোলাম ফারুক, সিএমপি কমিশনার মো. মাহবুবুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাগণ পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।
বাদ আছর জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, দিনব্যাপী খতমে কোরআন মিলাদ মাহফিল, বঙ্গবন্ধু বিষয়ক গ্রন্থের প্রদর্শনী ও বিক্রয়, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা, জাতীয় শোক দিবসের সাথে সংগতিপূর্ণ কবিতা পাঠ, রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, হামদ ও নাত, বিশেষ মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, একাত্তরের পরাজিত শত্রুরা এখনো নানা ধরণের অন্যায় অপকর্ম চালাচ্ছে। তারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শুধু জাতির পিতাকে হত্যা করেনি, হত্যা করেছে গোটা জাতিকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে দেশের নানা উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, জাতির জনকের আদর্শ বুকে ধারণ ও লালন করে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে। পৃথিবীর কোন দেশে এ ধরণের ইতিহাস নেই যে, একরাত্রে ১৭ জন মানুষ হত্যা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মত সাহসী ও সুদক্ষ প্রধানমন্ত্রী পেয়ে আমরা গর্বিত। তাঁর উদ্ভাবনীমূলক চিন্তা চেতনার জন্যই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে পাড়ি জমিয়েছে। বাংলাদেশ এখন ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর। উন্নত দেশের কাতারে দাঁড়াতে হলে এ উন্নয়নকে ধরে রাখার আহ্বান জানান বিভাগীয় কমিশনার।