সিটিনিউজ ডেস্ক:: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা-গোমতী সেতুর দুই পাশে ৩২ কিলোমিটার জুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজটের আটকা পড়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এ পথের যাত্রী ও কোরবানির পশু বিক্রেতারা । মঙ্গলবার বিকাল থেকে এই যানজটের সৃষ্টি হয় বলে জানান, হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিওনের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের মধ্যে মহাসড়কের কুমিল্লা দাউদকান্দির মেঘনা-গোমতী সেতুর টোলপ্লাজা থেকে চান্দিনার মাধাইয়া পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার এবং মুন্সিগঞ্জ জেলার অংশে ১০ কিলোমিটার যানজট লেগে আছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুমিল্লা অংশে দীর্ঘ যানজটে আটকে পড়েছে শতশত যানবাহন। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। তবে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন কোরবানির পশুবাহী যানবাহনগুলো।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকায় পশুর বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা, খাদ্য নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ঢাকাগামী যাত্রী ব্যবসায়ী জাকির হোসেন স্বজল জানান, কুমিল্লা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি ভোর বেলায়। গাড়িতে সাড়ে ৪ ঘণ্টা ধরে বসে আছি। এখনো দাউদকান্দি পৌঁছাতে পারেনি।
কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় হাজী মান্নান স্টোরের ব্যবসায়ী মো. আবদুল আউয়াল জানান, সারা বছরের তুলনায় ঈদ উৎসব আসলে আমাদের বেচাবিক্রির পরিমানটা একটু বাড়ে। কিন্তু ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার অংশে গত কয়েকদিনের দীর্ঘ যানজটে ঢাকা যেতে পারছি না। ঈদ উৎসবের জন্য নতুন পোশাক না আনতে পারলে ব্যবসা করবো কীভাবে?
হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিওনের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম জানান, মেঘনা সেতুর কাছে গার্মেন্ট শ্রমিকরা কিছুক্ষণের জন্য মহাসড়ক অবরোধ করলে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন লেগে যায়। মঙ্গলবার বিকাল থেকে শুরু হওয়া যানজট দীর্ঘ আকার ধারণ করেছে। মহাসড়কের মেঘনা-গোমতী ও মেঘনা সেতুর উভয় দিকে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়াও ঈদকে সামনে রেখে পন্যবাহী যানবাহনও বেড়ে গেছে যার প্রভাবে পড়ছে সড়কে।
এদিকে যানজটে আটকে পড়ে শতশত যানবাহনের হাজার হাজার যাত্রী দুর্ভোগে পড়েছেন। হাইওয়ে পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করছে বলে তিনি জানান।