শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার হিড়িক চলছে: রিজভী

0

সিটিনিউজ ডেস্ক:: কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার হিড়িক চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বলেছেন, বিশেষ করে ছাত্রীদের গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নেওয়া নজিরবিহীন। এতে অভিভাবকদের মাঝেও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

শনিবার দুপুরে দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন রিজভী।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘শিশু-কিশোররা রাস্তায় নেমেছিল নিরাপদ সড়কের দাবিতে। তাদের অনেক স্লোগান মানুষের হৃদয়কে শুধু দোলাই দেয়নি বরং ঘুমন্ত বিবেককে জাগিয়েছে, কর্তব্যবোধ সম্বন্ধে সচেতন করেছে।’

‘আর এ আন্দোলনের সমর্থনকারীদের বলা হচ্ছে উসকানিদাতা। অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, ফেসবুক ব্যবহারকারী, রাজনৈতিক দল- যারা এই আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তারের হিড়িক চলছে। রিমান্ডে নিয়ে শেখানো বুলি স্বীকার করতে উৎপীড়ন করা হচ্ছে।

‘বিশেষ করে ছাত্রীদের গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নেওয়া তো নজিরবিহীন। সবচেয়ে লোমহর্ষক ঘটনা হচ্ছে ছাত্রীদের সন্ধ্যারাত ও গভীররাতে হলের সামনে থেকে, বাসা থেকে এবং নদীর চরের প্রত্যন্ত এলাকার গ্রামের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’

ধমক দিয়ে প্রতিবাদী কণ্ঠকে স্তব্ধ করা যাবে না উল্লেখ করে সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘মানুষের বাকস্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, চলাফেরার স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে হরণ করে যে শূন্যতার সৃষ্টি করেছেন, তাতে ধেয়ে আসা প্রতিবাদী মানুষের টর্নেডোতে ভয় পেয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা বেসামাল হয়ে পড়েছেন। ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ভয়ে বেসামাল হয়ে কখনো ভয়ের কথা বলছেন, কখনো ধমকের সুরে কথা বলছেন। চারদিকে সরকারের পতনের শব্দ শোনা যাচ্ছে।’

রিজভী বলেন, আন্দোলন দমাতে সরকারের কার্যক্রম দেখে দেশ-বিদেশের মানুষ ভয়ে শিহরিত হয়ে উঠেছে। এ আন্দোলনে সমর্থনকারী আলোকচিত্রী, অভিনেত্রী, শিল্পী, কলাকুশলি, লেখক, সাংবাদিক, অভিভাবক কেউ সরকারের নিপীড়ন থেকে রক্ষা পাচ্ছে না।

গুজব ক্ষতিকর এবং তার দল গুজবকে প্রশ্রয় দেয় না জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘আমরা ক্ষতিকর গুজবের পক্ষে নই। তবে প্রকাশ্যে হাতুড়ি দিয়ে ছাত্র আন্দোলনের এক নেতার পা গুড়া করে পঙ্গু করে দেওয়া এবং শহীদ মিনারে একজন ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করা কি গুজব ছিল? একযোগে পুলিশ ও হেলমেটধারী সন্ত্রাসীদের শিশু-কিশোর ও সাংবাদিকদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়া কি গুজব ছিল? এগুলো সবার সামনেই ঘটেছে। এদের কেন বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না?

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.