সূফিবাদী জনতাকে উপেক্ষা করে কোন দলই ক্ষমতার স্বাদ পাবে না

0

সিটি নিউজ,চট্টগ্রাম : বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব জননেতা আল্লামা এম এ মতিন বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ট সূফিবাদী জনতাকে উপেক্ষা করে আর কোন দলই ক্ষমতার স্বাদ পাবে না। এবারের জাতীয় নির্বাচনে সূফিবাদী জনতা ইসলাম বিদ্বেষী- নবী ওলি দ্রোহী কোন শক্তিকে কোন ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাই সূফিবাদী গণমানুষের প্রাণের নেতা আল্লামা ফারুকী হত্যাকান্ডের বিচার নিয়ে সরকারকে আন্তরিক হতে হবে।

তিনি বলেন, সরকার আন্তরিক হলে অন্যান্য হত্যাকান্ডের বিচারের মত এ বিচারও এবছরই বাংলায় হওয়া সম্ভব। ইতোমধ্যে তদন্তে বেরিয়ে আসা হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিদেশে গ্রেফতার হওয়া আসামীকে দেশে ফিরিয়ে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর আয়োজিত ইসলামী ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম মেম্বার মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকীর ৪র্থ শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর সভাপতি যুবনেতা জসীম উদ্দীনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উদ্বোধক ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর সভাপতি মুহাম্মদ নঈম উল ইসলাম।

প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনার সাংগঠনিক সম্পাদক যুবনেতা আখতার হোসেন চৌধুরী। বিশেষ বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর সভাপতি ছাত্রনেতা মুহাম্মদ মাছুমুর রশিদ কাদেরী। উদ্বোধনী বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ইসলামী ফ্রন্টের সভাপতি নঈম উল ইসলাম বলেন, ৪০ বছর পরে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হতে পারলে আল্লামা ফারুকী হত্যার বিচারও হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট রাষ্ট্র ক্ষমতার অংশীদার হয়ে ফারুকীসহ সুন্নিয়তের সকল শহীদদের হত্যার বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। প্রধান বক্তা ইসলামী যুবসেনার সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন চৌধুরী বলেন, শহীদে মিল্লাত আল্লামা ফারুকীর নির্মম শাহাদাত সুন্নিয়তের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। এ শুন্যতা মোচন সম্ভব না হলেও আল্লামা ফারুকীর দেখানো পথে চলে, তাঁর মত নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। আল্লামা ফারুকী হত্যাকান্ডের বিচার নিশ্চিত করতে বিচারের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকটি সেক্টরে সেক্টরে ফারুকীর সৈনিকদের অবস্থান তৈরি করতে হবে। তিনি ইসলামী য্বুসেনার নেতাকর্মিদের শৃঙ্খলা অটুট রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।

বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর সাধারন সম্পাদক মুহাম্মদ হাবিবুল মোস্তফা সিদ্দিকি ও প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক মাওলানা মুহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম কাদেরীর যৌথ সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মাস্টার মুহাম্মদ আবুল হোসাইন, অধ্যক্ষ মোজাম্মেল, মাওলানা গিয়াস উদ্দীন নেজামী, মাওলানা সোহাইল উদ্দীন আনসারী, মাওলানা নাজিম উদ্দীন, মুহাম্মদ এনামুল হক, মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, হাফেজ ফরিদুর ইসলাম, বদরুল হুদা তারেক, সৈয়দ মোফাচ্ছেল মোস্তফা টিপু, বশির আহমদ চৌধুরী, হাফেজ আবদুল ওয়াহেদ, মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন কাদেরী, আ্যডভোকেট দিদারুল আলম, মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম চৌধুরী, এফ এ ইকবাল, দেলোয়ার হোসেন, আবু তৈয়ব রুবেল, আবদুর রহিম রকি, নূর মিয়া, হাফেজ নূর মোহাম্মদ মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন রুবেল, মুহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, তৌহিদুল হক, আদনান তাহসিন আলমদার, মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মুহাম্মদ সরফুদ্দিন প্রমুখ।

সভায় বক্তারা ইসলামী ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম মেম্বার নুরুল ইসলাম ফারুকীর হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে যথাযোগ্য শাস্তি প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানান।

তারা বলেন, নুরুল ইসলাম ফারুকী দেশবিরোধী ও স্বাধীনতার বিপরীত শক্তির জঙ্গিবাদী কার্যকলাপের মুখোশ উন্মোচন করার কারণেই তাদের জিঘাংসার শিকার হয়েছিলেন। কিন্তু সরকার মুখে জঙ্গী উৎপাটনের কথা বললেও নুরুল ইসলাম ফারুকীর হত্যাকারী চিহ্নিত জঙ্গি নেতাদের বিরুদ্ধে কোন আ্যকশন না নিয়ে প্রমাণ করেছে সরকার জঙ্গীবাদ দমনে আন্তরিক নয়। স্মরণ সভা শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব-চেরাগী পাহাড় হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.