ছদ্মবেশী শত্রুপক্ষই এখন বেশি সক্রিয়: কাদের

0

সিটি নিউজ ডেস্ক :: গুজব সৃষ্টিকারীদের ছদ্মবেশী শত্রুপক্ষ আখ্যায়িত করে তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন,‘এখন ছদ্মবেশী শত্রুপক্ষই বেশি সক্রিয়। এরা সুশীলে আছে, মিডিয়ায় আছে।’

আজ মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে মহানগর নাট্যমঞ্চে যুবলীগের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অতীতের মতো যেন কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়, সে ব্যাপারেও নেতাকর্মীদের সক্রিয় থাকার পরামর্শ দেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘২০০১ সালের মতো সকাল ১১টার আগেই ভোট শেষ। এ রকম দুরভিসন্ধি যাদের আছে, এই দুরভিসন্ধি ভণ্ডুল করে দিতে হবে। এখন ছদ্মবেশী শত্রুপক্ষই বেশি সক্রিয়। এরা সুশীলে আছে, মিডিয়ায় আছে। কিশোর কিশোরীদের আন্দোলনে যেখানে একটি মানুষও ক্যাজুয়ালিটিস হয় নাই সেখানে কি হলো? আপনি বললেন, বাংলাদেশে গণহত্যা চলছে। নোবেল লরিয়েটদের স্টেটমেন্ট পর্যন্ত গড়াতে এই কুচক্রী মহলের কতটা আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক কাজ করেছে, সেটা এখন পরিষ্কার।’

এ ছাড়া ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার বিচারে বিএনপির দাবি একটা নিষ্ঠুর দাবি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘২১ আগস্টের খুনিরা, খুনিদের পৃষ্ঠপোষকরা, বিএনপির নেতারা ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার চায়। ইতিহাসের বর্বরোচিত এক হত্যাকাণ্ডের প্রতি নিষ্ঠুর রসিকতা। ধিক্কার জানাই এই নোংরা রাজনীতিকে। তারা এখন ক্ষমতা চায় না, কারণ তারা জানে নির্বাচন হলে তারা ক্ষমতায় যেতে পারবে না। সে কারণে তারা চক্রান্তের চোরাগলি বেছে নিয়েছে। এবং দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে শেখ হাসিনার সরকারকে হটানোর চক্রান্ত করছে।’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে বলেও এ সময় অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘নতুন সাজে নতুন আঙ্গিকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বিএনপি ভুল করলেও ক্ষমা চায় না। বিএনপিকে দিয়ে আন্দোলন হবে না। তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারবে গুজব ছড়িয়ে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের যে চক্রান্ত তা এখনো শেষ হয়নি। এই চক্রান্ত চলছে। জনগণের ক্ষমতায়নই পারে এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে। জনগণের সম্মিলিত শক্তি অজেয়।’

যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, ড. আহম্মেদ আল কবির, মো. ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরন, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, মো. আতাউর রহমান, অ্যাডভোকেট বেলাল হোসাইন, অধ্যাপক এ বি এম আমজাদ হোসেন, অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু, আনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহম্মেদ মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক আতিক, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, আনোয়ার হোসেন, ইকবাল মাহমুদ বাবলু, শ্যামল কুমার রায়, জাকিয়া সুলতানা শেফালী, নির্বাহী সদস্য রওশন জামির রানা, এন আই আহম্মেদ সৈকত ও রেকায়েত আলী খান নিয়ন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল, দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাফর আহম্মেদ রানা প্রমুখ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.