রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী 

0

সিটিনিউজ ডেস্ক:: রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমাধান করতে আগ্রহী।’

মঙ্গলবার রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে অক্সফামের উদ্যোগে রোহিঙ্গা সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে একথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় উল্লেখ করে শাহরিয়ার বলেন,‘ রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। সেই সাথে সারা বিশ্বে জনমত বাড়ানোর কাজ চলছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমাধান করতে আগ্রহী। একইভাবে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নিয়েই এ বিষয়ে সামনে এগোতে চাই।’

কক্সবাজার ও চট্টগ্রামকেন্দ্রীক কোনও উন্নয়ন কাজে রোহিঙ্গাদের সম্পৃক্ত করার ব্যাপারে সরকার ঝুঁকি নেবে না বলেও জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

‘তারা (রোহিঙ্গা) যেন নিজ দেশে ফিরে গিয়ে কিছু করতে পারেন, সেই দক্ষতা বাড়ানোর জন্য কাজ করা হবে।’

এ সময় প্রতিমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান তুলে ধরেন। বলেন, ‘মিয়ানমারের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বাংলাদেশ। তবে মাদক ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমাদের অবস্থান কঠোর।’

‘আমরা তাদের সাথে চোরাচালান, মাদক, সমুদ্র নিরাপত্তাসহ রোহিঙ্গা ইস্যুতে চুক্তি করেছি। আমরা বরাবরই চেয়েছি মিয়ানমারের সাথে আমাদের সম্পর্ক অটুট থাকুক। তাই আমরা রোহিঙ্গা ইস্যুতে বছরখানেক চুপ থাকলেও আমরা এখন আর চুপ করে নেই। আমরা গত দুই বছরে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে কোথাও কিছু বাদ রাখিনি।’

স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা নারী পাচার ও যৌন হয়রানী বন্ধে বাংলাদেশ আন্তরিক উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা নারীদের সুরক্ষায় বাংলাদেশের পক্ষে সব সহযোগিতা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে এখনো  ৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দরকার। ফলে দেশি-বিদেশি এনজিও ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে রোহিঙ্গা নারীদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে।’

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরপত্তা প্রসঙ্গে শাহরিয়ার বলেন, ‘এত ছোট জায়গায় এতগুলো মানুষ বসবাস করতে হচ্ছে। যার ফলে প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হচ্ছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে; প্রায় ১২০০ পুলিশ সেখানে কাজ করছে।’

‘রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিচার প্রক্রিয়া নিয়েও একটা ঝামেলা রয়েছে। কী আইনে তাদের বিচার হবে সেটা নিয়েও ঝামেলা রয়েছে। এক কথায় এ বিষয়ে আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।’

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.