বাড়বে দেশের তাপমাত্রা, কমবে জীবনযাত্রার মান

0

সিটি নিউজ ডেস্ক :: বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী প্যারিস জলবায়ু পরিবর্তন চুক্তির বাস্তবায়ন হলেও ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের তাপমাত্রা এক থেকে এক দশমিক ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়বে। আর চুক্তি অনুযায়ী উদ্যোগ না নিলে তাপমাত্রা বাড়বে এক থেকে দুই দশমিক ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দেশের মোট জনসংখ্যার ৭৫ ভাগ মানুষের জীবনযাত্রার মান কমার আশঙ্কাও করছে বিশ্বব্যাংক।

আজ মঙ্গলবার দক্ষিণ এশিয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে আন্তর্জাতিক আর্থিক সহায়তা সংস্থা  বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশকে নিয়ে ওই আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শেফার ।

জলবায়ু পরিবর্তনের এই নেতিবাচক প্রভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও অতিবৃষ্টির কারণে ২০৫০ নাগাদ দেশের মোট জিডিপির  ৬ দশমিক ৭ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও আশঙ্কা বিশ্বব্যাংকের।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্যারিস জলবায়ু পরিবর্তন চুক্তির বাস্তবায়ন হলেও ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের তাপমাত্রা এক থেকে এক দশমিক ৫ ডিগ্রি বৃদ্ধি পাবে। আর চুক্তি অনুযায়ী উদ্যোগ না নিলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার দাঁড়াবে এক থেকে দুই দশমিক ৫ ডিগ্রি।

পরিবর্তিত এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে সহযোগিতার ব্যাপ্তি আরো বাড়ানোর কথা জানান বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শেফার।

হার্টউইগ শেফার বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করা ছাড়া আমরা দরিদ্রতা  রোধ করতে পারব না। সম্ভবত আগামী ১০ বছরে আমাদের ৯০ ট্রিলিয়ন অবকাঠামোগত বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে।’

অনুষ্ঠানে দেশের ধারাবাহিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন,  ‘প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ হবে বলে আমরা আশা করছি। মোটের ওপর গত ১০ বছরে উন্নয়ন হয়েছে। এখন নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে,  যেটা আমি মনে করি এই সরকারের আরো পাঁচ বছর নিশ্চিত করবে এবং পাঁচ বছর পরে আমরা খুব শক্তিশালী ভালো অবস্থানে থাকব।’

অনুষ্ঠান শেষে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের সহযোগিতার খাত এবং রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.