নাশকতার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ভূমিকায় থাকতে হবে

0

নিজস্ব প্রতিবেদক :: জঙ্গীবাদ ও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড মোকাবেলায় সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের রাজপথে শক্ত অবস্থানের নির্দেশনা দিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, আগামী ১০ অক্টোবর নারকীয় বোমা হামলার বিচারিক রায় ঘোষণার দিনকে কেন্দ্র করে নারকীয় তান্ডব ঘটানোর পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ জিরো টলারেন্স ভূমিকা পালনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীল পাশে থাকবে। এক্ষেত্রে ষড়যন্ত্রকারীদের তিল পরিমাণ ছাড় দেয়া হবে না। জনগণের জান-মাল রক্ষায় তাৎক্ষণিকভাবে যা কিছু করা প্রয়োজন সেই নৈতিক সাহস স য় ও চেতনা ধারণ করে মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ৯ থেকে ১১ অক্টোবর রাজপথেই থাকবে।

তিনি আজ বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের দারুল ফজল মার্কেটস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কার্যকরী পরিষদের জরুরী সভায় এই নির্দেশনা প্রদান করেন।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামাত জঙ্গীবাদ ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির অশুভ ছায়া। বিগত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা যখন দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলেছেন তখন তাদের ইস্যুহীন অযৌক্তিক আন্দোলনের নামে নাশকতামূলক তান্ডব চালিয়ে গণহত্যা চালিয়ে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকালী ও যুদ্ধাপরাধীদেরর ক্ষায় দেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দিতে চেয়েছে। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। তারা যদি আবারও ফণা তোলে তাদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলার শক্তি অর্জন করে মরণপণ লড়াই চালিয়ে স্বাধীনতা, সংবিধান গণতন্ত্র ও জনগণকে রক্ষা করতে হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী সভাপতির ভাষণে বলেন, শেখ হাসিনা রক্ষা পেলে বাংলাদেশ রক্ষা পাবে। তাঁকে ছাড়া বাংলাদেশ ও বাঙালি নিরাপদ নয়। তিনি জাতির অতন্দ্রপ্রহরী। তাঁকে সামনে রেখেইে আমাদের অগ্রগতির পথের বাঁধাগুলো সরাতে হবে।  

সভায় নগরীর ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের তত্ত্বাবধানে স্ব স্ব ওয়ার্ড ও থানা আওয়ামী লীগের এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সার্বক্ষণিকভাবে অবস্থান নেবেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে আগামীকাল থেকে দারুল ফজল মার্কেটস্থ কার্যালয়ে সন্ধ্যা ৬টায় থেকে রাত ৮টার মধ্যে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানানো হয়। এছাড়া কোন ওয়ার্ড সন্দেহভাজন আগন্তককে দেখা গেলে সাথে সাথে দলীয় উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করতে বলা হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি এডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব বদিউল আলম, এম.এ. রশিদ, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, শফিকুল ইসলাম ফারুক, হাসান মাহমুদ শমসের, এডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, হাজী জহুর আহমদ, মানস রক্ষিত, জোবাইরা নার্গিস খান, দিদারুল আলম চৌধুরী, আবদুল আহাদ, আবু তাহের, ডা: ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, হাজী শহীদুল আলম, জহর লাল হাজালী, নির্বাহী সদস্য এম.এ. জাফর, আবুল মনসুর, নুরুল আমিন শান্তি, সৈয়দ আমিনুল হক, মোহাম্মদ নুরুল আলম, আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ, গাজী শফিউল আজিম, গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, শেখ শহীদুল আলম, বখতেয়ার উদ্দিন খান, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, আহমেদ ইলিয়াস, বিজয় কিষান চৌধুরী, জাফর আলম চৌধুরী, গৌরাঙ্গ চন্দ্র ঘোষ, মোহাব্বত আলী খান, আবদুল লতিফ টিপু, রোটারিয়ান মো: ইলিয়াস, হাজী বেলাল আহমেদ প্রমুখ।   

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.