রংপুরে জাতীয় পার্টির দুর্গ ভাঙার সামর্থ কারো নেই: এরশাদ

0

সিটিনিউজ ডেস্ক:: আগামী নির্বাচন কেমন হবে, সেটি একমাত্র সৃষ্টিকর্তা বলতে পারবেন বলে মনে করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তবে নির্বাচন হবেই, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই তার।

সোমবার দুপুরে রংপুরের বাসভবন স্কাইভি তে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি। বলেন, ‘আগামী নির্বাচন কেমন হবে তা আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারবে না।’

২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনের আগে ভোট নিয়ে অনিশ্চয়তায় ছিলেন এরশাদ। তবে এবার এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই তার মনে। বলেছেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। নির্বাচন হবেই।’

‘আমরা ইলেকশন সবসময় করি এবারও করব। তিনশ আসনে প্রার্থী প্রস্তুত। সঠিক সময়ে নির্বাচন করতে হবে। সংবিধানিক দায় দায়িত্ব আছে।’

নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হোক বা ২০১৪ সালের মতো হোক, জাতীয় পার্টির রংপুর দুর্গ কারো ভাঙার সামর্থ নেই বলেও দাবি করেন এরশাদ।

২০ অক্টোবরের পর তিনশটি সংসদীয় আসনে প্রার্থী ঘোষণার কথাও জানান জাপা চেয়ারম্যান। বলেন, ‘আমরা তিনশ আসনে নির্বাচন করব বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। তবে ভবিষ্যতে কী হবে তা বলতে পারি না।’

২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচন আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ হিসেবেই করে জাতীয় পার্টি। আগামী সংসদ নির্বাচনেও বিএনপি এলে আবার এই জোট হবে বলে জানিয়েছেন সাবেক মহাজোটের দুই প্রধান শরিক। তবে ২০১৪ সালের মতো বিএনপি না এলে দুই দল পরস্পরের মোকাবেলা করবে।

স্ত্রী রওশন এরশাদের সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই বলেও দাবি করেন এরশাদ। বলেছেন, তারা দুই জন একসঙ্গেই ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

নির্বাচন এলেই এরশাদ-রওশন এরশাদ দ্বন্দ্ব বেড়ে যায় বলে যে প্রচার আছে, এ বিষয়ে জাপা চেয়ারম্যানের কাছে প্রশ্ন রাখেন সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। আমার স্ত্রী, আমরা সবাই এক।’

‘আমরা সবাই এক সাথে নির্বাচন করব। এতে কোনো দলীয়করণ নেই, বিভেদ নেই। আমাদের উদ্দেশ্য আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া।’

২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনের আগে এরশাদ ও রওশনের অবস্থান ছিল বিপরীতমুখী। সে সময় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েও হঠাৎ নির্বাচনে না যাওয়ার কথা জানান এরশাদ। তবে অসুস্থ জানিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করে।

এরপর রওশনের নেতৃত্বে দলের একটি অংশ নির্বাচনে যায়। আর এরশাদ অনিচ্ছা সত্ত্বেও রংপুর সদর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি যে তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেছিলেন, তার মধ্যে ঢাকা-১৭ আসন ছাড়া বাকি দুটির মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার হয়নি নির্ধারিত সময়ে আবেদন জমা না পড়ায়।

নির্বাচন শেষে এরশাদ জানান, তিনি শপথ নেবেন না, যদিও পরে স্পিকারের কাছে একা শপথ নেন তিনি। আর জাতীয় পার্টির সংসদীয় দল তার বদলে স্ত্রী রওশন এরশাদকে বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচিত করে। ফলে দলে এরশাদ প্রধান হলেও সংসদে জাতীয় পার্টির প্রধান তার স্ত্রী রওশন।

জাতীয় পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফখর উজ জামান, খালেদ আখতার, এসএম ইয়াসিরসহ স্থানীয় নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.