সিটিনিউজবিডি : চট্রগ্রামে মহেশখালের ওপর ড্যাম (বাঁধ) নির্মাণ বন্ধ ও সল্টগোলা মহেশখালের প্রবেশমুখে স্থায়ী স্লুইস গেইট নির্মাণের দাবিতে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে সচেতন নাগরিক সমাজ।
মঙ্গলবার বন্দর চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে নগরীর ৩৭নং ও ৩৮নং ওয়ার্ড সচেতন নাগরিক সমাজ।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অর্থায়নে বন্দর রিপাবলিক ক্লাবের পাশে মহেশখালের ওপর ‘মহেশখাল ড্যাম নির্মাণ প্রকল্প’ নাম দিয়ে বাঁধ নিমার্ণের কাজ শুরু হয়েছে। এ বাঁধ নির্মাণ করা হলে পোর্ট কলোনি পুরাতন মার্কেট, আদর্শপাড়া, মুন্সীপাড়া, ১নং সাইট পাড়া, মাইজপাড়া সহ ৩৭নং ও ৩৮নং ওয়ার্ড ও এর পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ড এবং এ স্থানে বসবাসকারী মানুষের সমস্ত বসতবাড়ি, ভিটা ও অন্যান্য স্থাপনাসমূহ জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাবে।
বাঁধ নিমার্ণের ভয়াবহতার কথা তুলে ধরে স্মারকলিপিতে বলা হয়, বর্তমানে সামান্য বৃষ্টি হলে ৩৭নং ও ৩৮নং ওয়ার্ডের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়। কোন কোন জায়গায় স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। তার ওপর বাঁধ নির্মাণ করা হলে জনসণের দূর্ভোগের সীমা থাকবে না। টিন ও ছনের ঘরে বসবাসরত অধিকাংশ মানুষকে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করতে হবে। এলাকায় নিয়মিত রোগ ব্যাধি ছড়িয়ে পড়বে, পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে যাবে।
এতে বলা হয়, আগ্রাবাদ সিডিএ এলাকার জলাবদ্ধতা ও জোয়ারের পানি রোধকল্পে জরুরী ব্যবস্থা নেয়া হোক সেটা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমরাও চাই, তবে এ এলাকার হাজার হাজার মানুষের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে নয়। তাই মহেশখালের ওপর বাঁধ দেওয়া বন্ধ করে সল্টগোলা মহেশখালের মুখে স্লুইস গেইট অথবা রেগুলেটর নির্মাণ করে সমস্যা স্থায়ীভাবে সমাধানের দাবি জানানো হয়।
এসময় বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, আগ্রাবাদবাসীকে রক্ষা করার জন্য সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে ৬ মাসের জন্য মহেশখালের ওপর ড্যামটি নির্মাণ করা হচ্ছে যেটি পরে ভেঙ্গে ফেলা হবে। আগামী শুষ্ক মৌসুমেই সল্টগোলাস্থ মহেশখালের প্রবেশদ্বারে স্থায়ী স্লুইস গেইট নির্মাণ করা হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক কমিশনার নূরুল আলম, সংগঠনের আহবায়ক ও আওয়ামী লীগ নেতা মুছা আল নুরীসহ আরো অনেকে।