চন্দনাইশে আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

0

নিজস্ব সংবাদদাতা, চন্দনাইশ : ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট ঢাকাস্থ কেন্দ্রীয় আ’লীগের কার্যালয়ের সামনে গ্রেনেড হামলার রায় প্রকাশিত হওয়ার পর পর চন্দনাইশে বিভিন্ন এলাকায় আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার ১০ অক্টোবর ২১ শে গ্রেনেড হামলার রায় প্রকাশিত হওয়ার পর পর চন্দনাইশ উপজেলা, পৌরসভা, বিভিন্ন ইউনিয়ন আ’লীগ পৃথক পৃথক মিছিল ও সমাবেশ আয়োজন করে। এসকল সমাবেশে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, দক্ষিণ জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরীসহ আ’লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।

তাছাড়া উপজেলা আ’লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, ইউনিয়ন আ’লীগের নেতৃবৃন্দ এ সকল সমাবেশে বক্তব্যে বলেন, আ’লীগ একটি সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক দল। দলীয় সভা নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে ১৪ বছর আগে গ্রেনেড হামলা করে হত্যার চেষ্টা করেছিল তৎকালীন বিএনপি সরকারের মন্ত্রী ও তারেক জিয়া গংরা। সে দিন গ্রেনেড হামলায় জননেন্ত্রী শেখ হাসিনা রক্ষা পেলেও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি’র সহধর্মিনী ,কেন্দ্রীয় আ’লীগ নেতা আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হয়। ২শতাধিক নেতাকর্মী জখম প্রাপ্ত হয়। এ ঘটনায় ২টি মামলা হয়। সে মামলার বিচার প্রক্রিয়া শেষে গত ১০ অক্টোবর রায় দেয়া হয়। রায়কে স্বাগত জানিয়ে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তরা বলেন, এ হত্যা কান্ডের মূল নায়ক, অর্থ ও হুকুমদাতা, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা, ইন্ধনদাতা তারেক জিয়ার ফাঁসি দাবি জানান।

রায় প্রকাশের পর থেকে বিকাল পর্যন্ত বিজিসি ট্রাস্ট, গাছবাড়ীয়া পুরাতন কলেজ গেইট, দক্ষিণ গাছবাড়ীয়া মক্কা পেট্রোল পাম্প, দেওয়ানহাট মোড়, দোহাজারী সদর, চন্দনাইশ পৌরসভা, সাতঘাটিয়া পুকুর পাড়সহ বিভিন্ন স্পটে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

এ সকল সমাবেশে দেখা যায়নি সম্ভাব্য অনেক প্রার্থী ও আ’লীগ কমিটির পদ-পদবীধারী অনেক নেতাকর্মীদের। তৎমধ্যে উল্লেখযোগ্য উপজেলা আ’লীগের ২ যুগ্ম সম্পাদক ও ২ সাংগঠনিক সম্পাদকসহ অনেক নেতৃবৃন্দ। এ সকল নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন অজুহাতে চট্টগ্রামে অবস্থান করেছেন বলে জানিয়েছেন। তবে বিএনপি বা ২০ দলীয় জোটের কোন নেতাকর্মীকে রাজপথে দেখা যায়নি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.