‘তিতলি’র প্রভাবে চট্টগ্রামে মুষল ধারা বৃষ্টি

0

সিটি নিউজ ডেস্ক :: ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র প্রভাবে চট্টগ্রামে মুষল ধারা বৃষ্টি হচ্ছে। আজ শুক্রবার (১২ অক্টোবর) বৈরি আবহাওয়ার কারণে মানুষের স্বাভাবিক কমর্কাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে। রাত ৩টা থেকে অব্যাহত রয়েছে বৃষ্টি। 

জানা গেছে, ভারতের উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করার পর দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল ও দেশের অভ্যন্তরে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের আর কোন সম্ভবনা নেই। ইতোমধ্যেই এটি দুর্বল হয়ে গেছে। ফলে ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র শঙ্কামুক্ত বাংলাদেশ।

আবহাওয়া অধিদফতর থেকে পাওয়া তথ্যমতে, সর্বশেষ পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় তিতলি উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে গোপালপুরের নিকট দিয়ে ভারতের উড়িষ্যা ও অন্ধ্র প্রদেশের উপকূল অতিক্রম করেছে। পরে উড়িষ্যা উপকূল সংলগ্ন স্থানে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে অবস্থান করে। আরো কিছু সময় পর উত্তর-উত্তর পশ্চিমের দিকে অগ্রসর হয়।

এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে  সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত বৃহস্পতিবার সকালে নামিয়ে ফেলা হয়েছে। যেহেতু সাগর উত্তাল আছে এবং উপকূলীয় অঞ্চলে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য আছে। সে কারণে সমুদ্র বন্দরগুলো ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মাঝিদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শেখ হারুন জানান, ‘ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ স্থলভাগের উপর অতিক্রম করার পর ধীরে ধীরে দুর্বল হবে। পশ্চিমবঙ্গের দিকে আসলে ‘তিতলি’ আর ঘূর্ণিঝড় থাকবে না। সেটি গভীর নিম্নচাপ বা নিম্নচাপ আকারে থাকবে।’ 

নিম্নচাপের প্রভাবে আমাদের উপকূলীয় অঞ্চল ও দেশের অভ্যন্তরে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত হবে। কয়েকদিন ধরে দেশের আকাশ মেঘলা ও আংশিক মেঘলা সেটা এই ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র কারণেই হচ্ছে। আমরা অনেক জায়গায় ভারী বর্ষণও রেকর্ড করেছি।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের অধিকাংশ স্থানেই বৃষ্টিপাত হবে। সেই সাথে উপকূলীয় অঞ্চলে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভবনা আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.