চট্টগ্রাম রাউজানে সেই প্রবাসী যুবকের মৃত্যু
সিটি নিউজ,চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের রাউজানের গহিরায় গলা কেটে হত্যা চেষ্টায় আহত প্রবাসী যুবক ফখরুল ইসলাম (২৮) অবশেষে মারা গেছেন। আহত হওয়ার দুইদিন পর শনিবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান ফখরুল। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে ফখরুলের সাবেক স্ত্রী উম্মে হাবিবা মায়া ও তার মা রাশেদা আকতার রাউজান পৌর এলাকার ভাড়া বাসায় ফখরুল ইসলামকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা চালায়। তারা ফখরুলকে মৃত ভেবে গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লাগিয়ে ফখরুল আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার চালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু স্থানীয়রা গুরুতর জখম ফখরুলকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করে। গত দুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্বামী ফখরুল ইসলাম বিদেশে থাকাকালে তার স্ত্রী পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনা জানাজানি হয়ে দুই পরিবারে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে স্বামীকে তালাক দেয় স্ত্রী উম্মে হাবিবা মায়া (১৯)।
সম্প্রতি ফখরুল দেশে ফিরে আসার পর গত বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তাকে নিজেদের বাড়িতে ডেকে নেয় স্ত্রী হাবিবা। সেখানে খাটের উপর ফেলে স্ত্রী ও শাশুড়ি মিলে ফখরুলকে গলা কেটে জবাই করে হত্যার চেষ্টা চালায়। পরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে রক্তাক্তবস্থায় বাসার ছাদে ফেলে রেখে বাসায় গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লাগিয়ে দিয়ে প্রচার করতে থাকে ফখরুল আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। আগুনের খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা ঘরে গিয়ে দেখতে পায় ঘরের সিড়িতে রক্তের দাগ। তারা সে রক্তের চিহ্ন ধরে বাড়ির ছাদে গিয়ে দেখতে পায় গলাকাটাবস্থায় ফখরুল ছটফট করছে। দ্রুত প্রতিবেশীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ওই দিন রাতেই মা রাশেদা আকতার ও মেয়ে উম্মে হাবিবা মায়াকে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে রাউজান থানার উপ-পরিদর্শক নূরনবী বলেন, ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফখরুলের শাশুড়ি রাশেদা আকতারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।
নিহত ফখরুল ইসলাম রাউজান পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের গহিরা মোবারকখিল এলাকার হালদার খান চৌধুরী বাড়ির তাজুল ইসলামের ছেলে।