বাঁশখালী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে পুলিশের উপর হামলা

0

বাঁশখালী প্রতিনিধিঃ বাঁশখালী উপজেলা গন্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেকটার উন্নয়ন কাজে বাঁধা প্রদান করে চাঁদা দাবি ও সরকারি কাজে বাঁধা, গ্রেপ্তারকৃত আসামি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা, পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

গত সোমবার ২২ অক্টোবর রাত ৮ টা ৪৫ মিনিটে গুলি বর্ষণ হামলার ঘটনায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালী গন্ডামারায় কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান স্পেকটা প্রকল্পের রাস্তার নির্মাণ কাজে বাঁধা প্রদান করে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাম্প পুলিশের এসআই মো. বাবুল মিয়া (এবি) এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ খাটখালী নির্মাণাধীন ঢালাই রাস্তার উপর পৌঁছে দুই আসামি মো. শাহাদাত (২৬) ও মো. খালেক (১৯) কে গ্রেপ্তার করা হয়।

থানায় নিয়ে আসার পথে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের সহযোগিরা গাড়ির সামনে গাছের গুড়ি ফেলে এলোপাথাড়ি ঢিল সহ গুলি ছুঁড়তে থাকে। এ সময় আসামিদের লক্ষ্য করে পুলিশ দশ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এ ঘটনায় দুই পুলিশ মো. ইসমাইল (২৮) ও পুলিশ মো. আশিক (২০) কে বাঁশখালী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ডেম্পার চালক আইয়ুব (৩৩) গুরুতর আহত হয়ে নগরীর ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সরকারি কাজে বাঁধা, আসামি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার ২৩ অক্টোবর গন্ডামারা পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ মো. বাবুল মিয়া বাদি হয়ে ৪নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বড়ঘোনা গ্রামের মো. আনছারের ছেলে মো. শাহাদাতকে (২৬) প্রধান আসামি করা হয়েছে। একই দিন বাঁশখালী থানায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান স্পেকটার প্রজেক্ট ম্যানেজার সৈয়দ জিয়াউর রহমান বাদি হয়ে চাঁদাবাজি ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ডেম্পার চালককে মারধর করার ঘটনায় মো. শাহাদাত কে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা ৩০ জন আসামি দেখিয়ে মামলা দায়ের করেছেন।

সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা) মুফিজ উদ্দিন বলেন, কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় সরকারিভাবে উন্নয়ন কাজ চলছে। যারা রাতের অন্ধকারে পুলিশের উপর হামলা করে সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.