বঙ্গোপসাগরের জলরাশির অতলে সম্পদের প্রাচুর্যতা রয়েছে

0

সিটি নিউজ ডেস্ক : সমুদ্রের তলদেশের সম্পদ কাজে লাগাতে পারলে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গোপসাগরের বিশাল জলরাশির অতলে সম্পদের প্রাচুর্যতা রয়েছে। এই সম্পদ আমরা উত্তোলন করতে সক্ষম হলে আগামি কয়েক প্রজন্ম লাভবান হবে। আর আমাদের অর্থনীতিতেও বিরাট অবদান রাখবে।

বুধবার (২৪ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে ১৪তম ‘হেড অব এশিয়ান কোস্ট গার্ড মিটিংয়ে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সম্পদের নিরাপদ ও পরিবেশগত টেকসই ব্যবহারের জন্য ব্লু ইকোনমি নীতি আমরা প্রনয়ন করেছি এবং তা বাস্তবায়নের কাজও আমরা শুরু করেছি। যা বাংলাদেশের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে বিশ্বাস করি।

সমুদ্রপথে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি জাহাজের নিরাপদ চলাচল অপরিহার্য মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রায় ৯০ শতাংশ সমুদ্রপথে সম্পাদিত হয়। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য যে আমাদের এই সমুদ্রপথে মাদকদ্রব্য পাচার, অস্ত্রপাচার, মানবপাচার অনিয়ন্ত্রিত মৎস আহরণ, জলদস্যুতা, সশস্ত্র ডাকাতি এবং আরও বিভিন্ন ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ প্রায়শই সংগঠিত হয়ে থাকে। এসব অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে শুধু দেশীয় নয় পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর অপরাধীরাও জড়িত থাকে। অপরাধীরা অনেক সময় আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে থাকে। কাজেই একক দেশ হিসেবে কারও পক্ষে এটা দমন করা সম্ভব না। যদি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা হয়, তাহলে এটা দমন করা সম্ভব; এবং এটা অপরিহার্য।

গত এক দশকে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি লাভ করেছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা স্বল্পন্নোত দেশ ছিলাম। এখন আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গ্রাজুয়েশন পেয়েছি। দেশকে আরও উন্নত করার জন্য আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।

সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের কোস্টগার্ডের শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.