কক্সবাজারে কে পাচ্ছেন নৌকার টিকেট কৌতুহল ভোটারদের

0

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজারঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষনা করা হতে পারে মঙ্গলবার থেকে। দুই বা তিন ধাপে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষনা করা হতে পারে। কক্সবাজারের চারটি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কারা হচ্ছেন বা নৌকার টিকেট কারা পাচ্ছেন এই নিয়ে পুরো জেলা জুড়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা।

দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রার্থী তালিকাও প্রস্তুত করে ফেলেছেন বলে একাধিক সুত্রে প্রকাশ। চুড়ান্ত ঘোষনার আগেই দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারন ভোটারদের মাঝে শেষ মুহূর্তে তুমুল আগ্রহ আর কৌতুহলের শেষ নেই।

আওয়ামী লীগের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের ৪টি সংসদীয় আসনেই জোটের শরিকের কোন আসন থাকছেনা। এইবার ৪টি আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেয়ার কথা রয়েছে। চারটি আসনে প্রার্থীর মধ্যে দুইটি আসনে নতুন চমক আসছে বলে নিশ্চিত করেছেন সূত্রটি।

আওয়ামী লীগের অপর একটি সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে শেষের দিকে মাঠ পর্যায় থেকে চুড়ান্ত জরিপ সংগ্রহ করেছে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। জরিপের প্রার্থীর জনপ্রিয়তা, গ্রহনযোগ্যতার পাশাপাশি জয়ের সক্ষমতাও যাচাই করা হয়েছে। সব হিসেব নিকেষ করেই যে প্রার্থী নৌকাকে বিজয়ী করতে পারবেন তাদেরকেই মনোনয়ন দেয়া হবে।

সর্বশেষ জরিপ হিসেবে প্রার্থী মনোনয়ন দিলে কক্সবাজারের ৪টি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হচ্ছেন, কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে সালাহ উদ্দিন আহমেদ সিআইপি অথবা জাফর আলম, কক্সবাজার-২ (কুতুবদিয়া-মহেশখালী) আশেক উল্লাহ রফিক, ড. আনছারুল করিম, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডঃ সিরাজুল মোস্তফা, ইঞ্জনিয়ার ইসমত আরা ইসমু, কক্সবাজার-৩ (কক্সবাজার সদর-রামু) সাইমুম সরওয়ার কমল, কানিজ ফাতেমা, নজিবুল ইসলাম, ও কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) সোহেল আহমেদ বাহাদুর, আব্দুর রহমান বদি ও অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে দলের সভানেত্রীর সিদ্ধান্তের ওপর।

মাঠ পর্যায়ে জরিপে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে মাঠের জরিপে এগিয়ে আছেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ সিআইপি। সালাউদ্দিন আহমেদ সিআইপির পরপরই আছেন চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাফর আলম।

কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে মাঠপর্যায়ের জরিপে এগিয়ে আছেন ড. আনছারুল করিম, বর্তমান সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডঃ সিরাজুল মোস্তফা । এদের পরপরই আছেন ইঞ্জিনিয়ার ইসমত আরা ইসমু। জরিপে এই আসনে আশেক উল্লাহ রফিকের সাথে মনোনয়ন দৌড়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে, ড. আনছারুল করিম ও জেলা আওয়াম ীলীগের সভাপতি এডঃ সিরাজুল মোস্তফার সাথে।

কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনে দলিয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার গুডবুকে সবার উপরে মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী কানিজ ফাতেমা মোস্তাক। এর পরে মনোনয়ন দৌড়ে আছেন কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজিবুল ইসলাম, বর্তমান সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইসতিয়াক আহমেদ জয় ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদিকা নাজনীন সরওয়ার কাবেরী ।

কক্সবাজার ৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে মাঠপর্যায়ের জরিপে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছেন জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমেদ বাহাদুর। জরিপে উখিয়া টেকনাফ আসনে সোহেল আহমেদ বাহাদুরের পরের অবস্থান হলো বর্তমান সংসদ আব্দুর রহমান বদি।

দলের মনোনয়ন যেই পাক সকল ভেদাভেদ ভূলে নৌকার প্রার্থীকে জয় করতে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে চান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। মহেশখালীর ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান জানিয়েছেন, দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা যাকেই যোগ্য মনে করবেন তাকেই মনোনয়ন দিবেন। নৌকার প্রার্থী যেই হোক, তাকে বিজয়ী করতে, নৌকাকে বিজয়ী করতে সকলে মিলে কাজ করে যাবো।

কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক সোহেল জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যাকেই মনোনয়ন দিবেন তারজন্য আমরা সবাই কাজ করে যাবো। আর যারা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাবেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.