ইসি সচিব ও ডিএমপি কমিশনারের বদলী চাইল বিএনপি

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ  নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালু্দ্দীন আহমদের বদলিসহ কমিশনে নয় দফা দাবি জানিয়েছে বিএনপি। দাবির মধ্যে রয়েছে- নির্বাচন কমিশন থেকে দেশের ৪৫ জেলায় সচিব মর্যাদার কর্মকর্তাদের মেনটর হিসেবে নিয়োগ দেয়ার আদেশ বাতিল, প্রশাসনে রদবদল বন্ধ উল্লেখযোগ্য।

আজ মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ চিঠি দেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এ চিঠি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) দফতরে জমা দেয়া হয়েছে। ওই সময় আলাদা একটি চিঠিতে ইসি সচিবসহ ডিএমপি কমিশনারের বিচার দাবি করা হয়।

একই সাথে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন বিতরণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ সংশ্লিষ্টদের বিচার দাবি করেছে বিএনপি। নির্বাচন কমিশন থেকে প্রশাসনে আচরণবিধি পালন সংক্রান্ত চিঠির পরই এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছে দলটি। শুধু সচিব নন; ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, সংশ্লিষ্ট জোনের উপ-কমিশনার ও সচিবালয়ের যুগ্ম সচিবেরও শাস্তি চাওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন বিতরণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় তাদের বিচার চাওয়া হয়। চিঠি দুটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা ছাড়াও ইসি সচিবের কাছে দেয়া হয়। ইসি সচিব তাদের চা ও বিস্কুট দিয়ে আপ্যায়নও করেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, একাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির লক্ষ্যে দলটির পক্ষে এসব দাবি জানানো হলো। এতে আরও বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সচিব এবং পুলিশ সদর দফতরের মাঠ প্রশাসনের বদলি; নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত পদে পদায়ন ও বদলিতে সিনিয়রিটি ও মেধাক্রম অনুসরণ করতে হবে। সব বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারদের প্রত্যাহার করে সিনিয়রিটির ভিত্তিতে পদায়ন; ডিসি-এসপি ও মেট্রোপলিটন এলাকায় উপ-পুলিশ কমিশনার পদে দুই বছরের বেশি দায়িত্বপালনকারীদের প্রত্যাহার ও বদলি; ডিসি পদায়নে ফিট লিস্ট তৈরি এবং ইউএনও ও ওসিদের বর্তমান কর্মরত জেলার বাইরে বদলি; প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন বা আছেন এবং মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী/উপমন্ত্রী/উপদেষ্টাদের পিএস ও এপিএস হিসেবে দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তাদের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট পদে পদায়ন না করা।

পক্ষপাতমূলক আচরণকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল, পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি প্রদান এবং জেলা প্রশাসনে অগ্রাধিকার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপদেষ্টা (মেনটর) মনোনয়ন-সংক্রান্ত আদেশ বাতিল।

চিঠির সঙ্গে ৪৫ জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টাদের একটি তালিকাও যুক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদও রয়েছেন, তার দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা বান্দরবান।

 

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.