প্রার্থীরা নির্বিঘ্নে গণসংযোগ করতে পারবেন- আবদুল মান্নান

0

সিটি নিউজ,চট্টগ্রাম : একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের প্রচারণায় বাধা দেয়াসহ পোস্টার লাগাতে না দেওয়া, হত্যার হুমকি, মামলা-হামলা’সহ বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন দলটির কয়েকজন সিনিয়র নেতা। এছাড়া বিএনপি কর্মীদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে এবং তাদের কর্মীদের গায়েবী মামলা দিয়ে ধরপাকড় অব্যাহত রেখেছেও বলেও জানান বিএনপি নেতারা। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ও মহাজোট মনোনীত প্রার্থীরা বিএনপির এসব অভিযোগ সঠিক নয় বলেও মন্তব্য করেন।

সোমবার ১৭ ডিসেম্বর দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে বিভাগীয় কমিশনার ও দায়িত্বরত রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল মান্নানের সাথে মতবিনিময়কালে ২০ দলীয় জোট ও মহাজোট মনোনীত প্রার্থীরা নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে নিজেদের মত প্রকাশ করেন।

মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড), চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী), চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও), চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী), চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং) এবং চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর) আসনের প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। প্রার্থীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের জবাবে বিভাগীয় কমিশনার ও দায়িত্বরত রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল মান্নান বলেন, প্রার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে গণসংযোগ করতে পারেন সেটা আমরা দেখব। মানুষ অবশ্যই ভোট দিতে যেতে পারবে। এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করবেন না। বিরোধী দলের কোনো নেতাকর্মী-সমর্থক যাদের বিরুদ্ধে মামলা বা পরোয়ানা নেই তাদের বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখার তাগিদ দেন তিনি।

মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম-১১ আসনের প্রার্থী বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ভোটারদের মধ্যে এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় শঙ্কা হলো-ভোট দিতে কেন্দ্রে যেতে পারব তো? আগের কোনো নির্বাচনে তো এই ধরণের কোনো শঙ্কা ছিলো না। তাহলে এই শঙ্কা এখন আসলো কেন? এই ‘ফিয়ার সাইকোসিস’ কারা সৃষ্টি করেছে? ভিন্ন মতের লোকদেরকে দমনের জন্য গায়েবি মামলা দেয়া হচ্ছে। এসব কার চিন্তা? এসবের কী উদ্দেশ্য?

প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে আমীর খসরু বলেন, আপনারা কেন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পার্টি হচ্ছেন? আমরা তো আপনাদের সম্মান করি, আপনাদের বিশ্বাস করি। আপনারা কেন রাজনৈতিক দলের পক্ষ নেবেন? একটা উদাহরণ দেন যে ঘটনার তদন্ত বা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সব মন্ত্রী পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরছে। আওয়ামী লীগের একটা লোক গ্রেফতার হয়েছে? সব বিরোধীদলের লোক কেন গ্রেফতার হবে? কাল থেকে এসব গ্রেফতার অভিযান বন্ধ করুন। সব থেকে বড় কথা জনগণ এসব আর বিশ্বাস করছে না। ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে প্রার্থীর সব প্রতিনিধির সামনে ব্যালট বাঙ ভোটারের সংখ্যা অনুযায়ী গণনা করে নেওয়ার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট অনুরোধ জানান।

আমীর খসরুর বক্তব্যের জবাবে চট্টগ্রাম-৯ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ভোটারদের মধ্যে কোনো ভয়-ভীতি দেখছি না। অথচ বারবার এটা যখন বলা হচ্ছে তখন প্রেক্ষাপট দেখা দরকার। গত ২০০৫ সালের নির্বাচনে (সিটি করপোরেশন নির্বাচন) গুলি করে শ্রমিক লীগের ৬ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আমরা তো ভয়ভীতির কথা বলে নির্বাচন থেকে সরে যাইনি।

এছাড়া ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিরোধের নামে যে তাণ্ডব, আগুন সন্ত্রাস ও হত্যাকাণ্ড চালানো হয় একটি দলের নেতৃত্বের নির্দেশে-তখনই ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। কেউ ভয়ের কাজ করলে, কোনো তাণ্ডব-হত্যায় সম্পৃক্ত থাকলে তাদের মধ্যেই ভয় আসে। প্রার্থী হিসেবে আমিও শঙ্কিত তারা যদি আবার কিছু ঘটায়। আজ ভোটারদের মধ্যে ভোট দিতে পারবে কিনা যে সংশয় দেখা দিয়েছে, এর কারণ হলো ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে শত শত ভোটকেন্দ্র জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। ভোটারদের শঙ্কার আরেকটি কারণ যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত নিবন্ধনহীন একটি দলের লোকজন একটি জোটের সাথে যুক্ত হয়ে গেছে।

এসময় আমীর খসরু বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ওনি রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন। এটা রাজনৈতিক মঞ্চ নয়। তখন বিভাগীয় কমিশনার নওফেলের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনি বলেছেন, আমরা শুনেছি। আপনার নির্বাচনী এলাকার বিষয়ে কিছু বলার থাকলে বলুন। ইভিএম নিয়ে যদি কিছু বলতে চান। তখন নওফেল জানান, তার চট্টগ্রাম-৯ আসনে ইভিএম নিয়ে নারী ভোটারদের মধ্যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

সভায় চট্টগ্রাম-১০ আসনে বিএনপির প্রার্থী দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, গত রোববার নয়াবাজারে বিজয় শোভাযাত্রার উদ্বোধনী বক্তব্য দেওয়ার সময় লাঠি ও অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করা হয়। তারা আমাকে গুলি করতে উদ্যত হয়। আমার এ অবস্থা হলে নেতাকর্মীদের কী অবস্থা? পত্রিকায় এসেছে কিনা জানি না, তবে আমার কাছে ছবি আছে। আমি পুলিশের কাছে জীবন বাঁচানোর জন্য আবেদন করেছিলাম। একঘণ্টা পর পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে। বর্তমানে দেশে নির্বাচনের পরিবেশ তো নেই, পরিবেশের আরো অবনতি হচ্ছে। এভাবে চললে দেশে গণতান্ত্রিক ধারার অবনতি হবে। এর দায় সরকারকে নিতে হবে। আমি ২৭ নভেম্বর থেকে মাঠে আছি। ১০ তারিখ থেকে প্রতিদিন কোনো না কোনো এলাকায় গণসংযোগে যাচ্ছি। কিন্তু আমাকে প্রচারণা চালাতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের পোস্টার ছিড়ে ফেলা হচ্ছে। নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। তাদের ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে।

রিটার্নিং কমকর্তাকে উদ্দেশ্য করে নোমান বলেন, এখন মানুষের মধ্যে শঙ্কা ছড়িয়ে পড়ছে। সম্ভব হলে পুলিশ প্রশাসনে একটু রদবদল করুন।
চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও একাংশ) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় কর্মীদের সরকারি দলের লোকেরা ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। কিন্তু এ অবস্থায় নির্বাচন কর্মকর্তারা সেটিসফাইড থাকলে আমার তেমন কিছু বলার নেই। আমাদের প্রচারণায় নিয়মিত বাধা দেয়া হচ্ছে। মিথ্যা মামলায় আমাদের ধরপাকড় করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমাদের ৫০ জন নেতাকর্মীকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে।

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইসহাক চৌধুরী বলেন, নির্বাচনে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে কিছু নেই। এই কিছুদিন আগে, আমার বাড়িতে নির্বাচনী বৈঠক চলাকালে পুলিশ বাড়ি ঘেরাও করে আমার ভাইকে ধরে নিয়ে যায়। এছাড়া আমরা এলাকায় কোনো নির্বাচনী কার্যক্রম চালাতে পারছি না। তাই রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রতি অনুরোধ জানাবো অন্তত নির্বাচন পর্যন্ত অভিযান বন্ধ রাখুন।

চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনের প্রার্থী মেজর (অব.) সৈয়দ মো. ইবরাহিম বলেন, ব্যক্তিগতভাবে যখন প্রশাসনের কোনো কর্তা-ব্যক্তির কাছে যাই, সম্মান পাই। কিন্তু নির্বাচনে দাঁড়ানোর পর কারো কাছে গেলে সেই সম্মানটুকু দূরের কথা, প্রাপ্য সহযোগিতাও পাচ্ছি না। অতি উৎসাহীরা আমার সমর্থকদের ফোনে হুমকি দিচ্ছে। পোস্টার নষ্ট করছে। আশা করি, নির্বাচনের আগেই এর প্রতিকার পাবো। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মহাজোটের। ওনি নৌকার প্রার্থীও না। বর্তমান সরকারের একজন মন্ত্রী হওয়ায় নির্বাচনী প্রচারণায় ওনার সামনে পিছনে পুলিশের গাড়ি নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি।

মেজর ইবরাহিমের অভিযোগের জেরে আবদুল মান্নান বলেন, মন্ত্রী সাহেব নির্বাচনী প্রচারণায় পুলিশ নিয়ে যেতে পারবেন না। আমি এই ম্যাসেজটি ওনাকে জানিয়ে দিবো।
চট্টগ্রাম-৮ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাসদের মইনউদ্দীন খান বাদল বলেন, নির্বাচনে জড়িতদের দোষারোপ করে তাদের কাছ থেকে আবার সুষ্ঠু নির্বাচন চাইলে সেটা সম্ভব না। মতের ভিন্নতা নিয়েই তো আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচনে এসেছি। তারা বলবে নির্বাচনের পরিবেশ নেই। আমরা বলব, আছে। তারা বলবে মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি আছে। আমরা বলব, নেই। প্রার্থীর সঙ্গে প্রার্থীর এই মতভিন্নতা না থাকলে আমরা পরস্পরের বিরুদ্ধে নির্বাচন করছি কেন? আমরা যারা প্রার্থী, আমাদের প্রতিদিন একজনের সঙ্গে আরেকজনের দেখা হবে। আমরা বাঙালি। এই বাঙালিদের দেশ একটাই। সুতরাং একটা নির্বাচনের কারণে আমাদের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে না।

মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম-১০(বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) মনোনীত প্রার্থী মাহিন উদ্দিন, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী আশরাফ হোসাইন, চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনের বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী আবু আজম, চট্টগ্রাম-৯ আসনে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের ওয়াহিদ মুরাদ, চট্টগ্রাম-১০ আসনের এনপিপি প্রার্থী কাজী ইউসুফ, চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আফছারুল আমিনের প্রতিনিধি ইকবাল চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এম এ লতিফের প্রতিনিধি অহিদ সিরাজ স্বপনসহ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৩১ জন প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিরা নির্বাচন নিয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। অন্যদিকে চট্টগ্রাম-৯ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের প্রতিনিধি এস এম বদরুল আনোয়ার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ‘ইভিএম’র পাশাপাশি ব্যালট পেপারও রাখার প্রস্তাব করেন। জবাবে রিটার্নিং কর্মকর্তা সিইসির সাথে বৈঠককালে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানান।

সভায় বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান বলেন, চট্টগ্রামে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মধ্যে পারিবারিক ও আত্মীয়তার বন্ধন আছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য এটা সহায়ক। চট্টগ্রামের অবস্থা তুলনামূলক ভালো। আশাকরি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান থাকবে। প্রার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে গণসংযোগ করতে পারেন সেটা আমরা দেখব। মানুষ অবশ্যই ভোট দিতে যেতে পারবে। এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করবেন না। বিরোধী দলের কোনো নেতাকর্মী-সমর্থক যাদের বিরুদ্ধে মামলা বা পরোয়ানা নেই তাদের বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি আবুল ফয়েজ বলেন, পুলিশ কারো প্রতিপক্ষ নয়। আমি নির্দিষ্ট কোনো দল কিংবা ব্যক্তির ডিআইজি নই। আমরা সব দলের, সব মানুষের। ঢালাওভাবে গ্রেফতার করার যে অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে আসছে, তা ঠিক নয়। নির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করে না। পুলিশ যে অভিযান পরিচালনা করছে, তা নির্বাচনকে টার্গেট করে নয়। রুটিন ওয়ার্ক অনুযায়ী কাজ করছে মাত্র।

তিনি বলেন, সব দলের প্রার্থীদের প্রতি আমাদের অনুরোধ, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমন কোনো জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি করবেন না, যাতে আমাদের সবার রাতের কিংবা দিনের ঘুম নষ্ট হয়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে লিখিতভাবে জানান, আমরা সব ধরণের ব্যবস্থা নেবো।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম বলেন, গায়েবি মামলা বলে কিছু নেই। থানায় এসে কেউ অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযোগের তদন্তকালীন সময়ে যে কাউকে গ্রেফতার করতে পারে। নির্বাচনে প্রত্যেক প্রার্থীকে নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সবাইকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে চাই আমরা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে সেটা আমাদের কারও জন্যই সুখকর হবে না।

আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করতে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নেবো। প্রত্যেক প্রার্থীর মনোনীত ৫ জন এজেন্টকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। নির্বাচনের আগের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে, প্রত্যেক প্রার্থীর মনোনীত এজেন্টকে পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। যাতে বাইরের কেউ এসে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করতে না পারে।

সভায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শংকর রঞ্জন সাহা, স্থানীয় সরকারের বিভাগীয় পরিচালক দীপক চক্রবর্ত্তী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল এ) মো. মমিনুর রশিদ, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দেলোয়ার হোসেনসহ প্রশাসনের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.