বিএনপির উচিত ঐক্যফ্রন্ট ভেঙ্গে দিয়ে জনরায় মেনে নেয়াঃ মেজর আখতার
সিটি নিউজ ডেস্কঃ বিভিন্ন মন্তব্যে বার বার খবরের শিরোনামে আসা মেজর (অবঃ) মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন বিএনপির উচিত জনরায় মেনে নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট ভেঙ্গে দেয়া। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল পরিবর্তনের ক্ষমতা বিএনপির নেই মন্তব্য করে অবিলম্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ভেঙে দেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
আজ মঙ্গলবার (১ জানুয়ারী) দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি এ দাবি জানান।
মেজর আখতার তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, যা হবার হয়ে গেছে। নির্বাচনে জনরায় মেনে নিন। আপাতত তা পরিবর্তন করার বুদ্ধি বা ক্ষমতা কোনোটাই আমাদের নাই। এটি চরম বাস্তবতা। ভারত ও চীনসহ অনেক রাষ্ট্র প্রধানরা বাংলাদেশের নির্বাচন মেনে নিয়েছেন। অন্যরাও ধানাইপানাই করে মেনে নেবেন। আপনারা অযথা বাগাড়ম্বর করে বিএনপির নেতাকর্মীদের জীবন দুর্বিসহ করে দিয়েন না।
সাবেক সংসদ সদস্য বলেন, আল্লাহর ওয়াস্তে এই অপকর্মটি করবেন না-জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের কাছে আমাদের বিনীত নিবেদন। আইন বা বিচার বিভাগও যে সরকারের শক্ত নিয়ন্ত্রণে তা যদি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা না বোঝেন তাহলে এও জাতির আরেকটি দুর্ভাগ্য।
বিএনপির জেষ্ঠ নেতাদের সমালোচনা করে আখতারুজ্জামান বলেন, এমনিতেই দলের ১০০ ভাগ নেতাকর্মী জেল জুলুমের শিকার। আর আপনাদের নেতাগিরি দেখাতে গিয়ে বিএনপির অস্তিত্ব বিলুপ্ত করে দিয়েন না।
স্ট্যাটাসে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কাছে বেশকিছু দাবি তুলেন ধরেন মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান।
১) বিনাবাক্যে ও শর্তে নির্বাচনের ফল মেনে নিন ২) অবিলম্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ভেঙে দিন ৩) সব সিনিয়র নেতারা রাজনীতি থেকে অবসর নিন ৪) আগামী এক বছরের জন্য সব প্রকার রাজনৈতিক তৎপরতা স্বেচ্ছায় বন্ধ করে দিন ৫) নির্বাচন উত্তর সব তৎপরতা স্থগিত করেন ৬) এক বছর পর নতুন করে রাজনৈতিক শক্তি সংগঠিত করার এবং পরবর্তী নির্বাচনের জন্য নতুন যোগ্য নেতৃত্ব সৃষ্টির সুযোগ দিন ৭) দেশে ইতিবাচক রাজনৈতিক ধারা সৃষ্টিতে সবাই সহযোগিতা করুন।
ফেসবুকের ওই স্ট্যাটাসে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদন যুক্ত করে দেন, যার শিরোনাম হল-‘আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা দিল ঐক্যফ্রন্ট’।
প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়েন মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামান। তবে নির্বাচনে ৫৪ হাজার ৫০ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কাছে হেরে যান। এ আসনে আওয়ামী লীগের নূর মোহাম্মদ পেয়েছেন ৩ লাখ ৭৭৬ ভোট।