কাদের ইন – হাওলাদার আউট

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ জাতীয় পার্টির মহাসচিব পদ হারিয়েছেন আগেই। ওই পদে তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন মসিউর রহমান রাঙ্গা। তবে পরবর্তীতে জানানো হয়েছিল এরশাদের পরই জাতীয় পার্টিতে রুহুল আমিন হাওলাদারের অবস্থান। জাপা চেয়ারম্যানের অবর্তমানেই তিনি থাকবেন শীর্ষ পদে। চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে চেয়ারম্যানের সার্বিক সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। করেছেনও।

সবার মতামত অগ্রাজ্য করে পার্টি চেয়ারম্যানের দেয়া একক ক্ষমতাবলে নমিনেশন প্রত্যাহারের শেষ দিনে জাপার ১৫০ প্রার্থীকে উন্মুক্ত প্রার্থী ঘোষনা করেন। অবশেষে সেই জায়গাও হারালেন রুহুল আমিন হাওলাদার। তার বিরুদ্ধে রয়েছে নমিনেশন বাণিজ্যের অভিযোগও। এরশাদ সিঙ্গাপুর থেকে এসে মনোনয়ন বাণিজ্যের প্রমান পান হাওলাদারের বিরুদ্ধে।

জাতীয় পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পরে দলটির উত্তরাধিকারী হচ্ছেন তারই ছোটভাই জিএম কাদের। এখন থেকে এরশাদের অবর্তমানে তিনিই পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। ভবিষ্যতে এরশাদের অবর্তমানে চেয়ারম্যানে দায়িত্ব পালনের জন্য জিএম কাদেরকে ক্ষমতা অর্পনে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাপা থেকে মোটামুটি বিদায়ই ঘটলো হাওলাদারের নেতৃত্বের।

শারিরিকভাবে অসুস্থ বয়োবৃদ্ধ এরশাদ গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি ইতিমধ্যে চিঠি দিয়ে ছোটভাইকে জানিয়ে দিয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি। ফলে এইচএম এরশাদের অবর্তমানে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন তার ছোট ভাই জিএম কাদের।

জাতীয় পার্টির জন্য ভবিষ্যত নির্দেশনা শিরোনামে জিএম কাদেরকে লেখা চিঠিতে এরশাদ বলেন, আমি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে পার্টির সর্বস্তরের নেতাকর্মী সমর্থকদের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখছি যে আমার অবর্তমানে পার্টির বর্তমান কো চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। আশা করছি, পার্টির জাতীয় কাউন্সিল আমার মতো তাকেও চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে-পার্টির সার্বিক দায়িত্ব অর্পন করবে। তাছাড়া পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে আমি যতদিন দায়িত্ব পালন করবো- জিএম কাদের আমাকে সহযোগিতা করবেন।

তবে রাজনৈতিক বোদ্ধারা বলছেন, দেশে গনতান্ত্রিক ধারা চললেও এরশাদের জাপায় এখনো স্বৈরতন্ত্র চালু রয়েছে। এখানে কোন নেতার পদই স্থায়ী নয়। পার্টি প্রধানের কলমের খোঁচায় যখন তখন পদ হারাতে পারেন নেতারা। এখানে এরশাদের আদেশ নির্দেশই দলের গঠনতন্ত্র।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.