নির্বাচন নিয়ে সংলাপের কোনো প্রয়োজন নেইঃ কাদের

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘নির্বাচন নিয়ে সংলাপের কোনো প্রয়োজন নেই। এখানে সংলাপ নিয়ে ধূম্রজাল কোথা থেকে এলো? আমি তো সংলাপ শব্দটি উচ্চারণ করিনি। বলা হয়েছে গণভবনে নেত্রী আমন্ত্রণ জানাবেন, শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। একটু আপ্যায়নের ব্যবস্থাও থাকবে। এই ছিল আমাদের কথা। এখানে ধূম্রজাল কেন হবে, সংলাপ কেন হবে?’আমি কখনো বলিনি সংলাপ হবে।

আজ মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারী) রাজধানীর ধানমন্ডিতে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিজয় সমাবেশ উদযাপনের প্রস্তুতি সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সংলাপ নিয়ে আমরা তো কিছু বলিনি। কেউ যদি মনগড়া খবর পরিবেশন করেন তাহলে তো কিছু করার নেই। আমি যে বক্তব্য রেখেছি তার অডিও-ভিডিও ক্লিপ রয়েছে, সেখানে সংলাপের কোনো বিষয় নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে ঐক্যফ্রন্ট, যুক্তফ্রন্ট, বিএনপি, বাম গণতান্ত্রিক জোট, ইসলামী জোট সব মিলিয়ে মোট ৭৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছিলেন। সেই দলগুলোর নেতৃবৃন্দকে আমাদের নেত্রী আবারো গণভবনে আমন্ত্রণ জানাতে চান, শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী একবারও সংলাপের কথা বলেননি। আমি বলেছি তিনি আমন্ত্রণ জানাবেন। আমি তো সংলাপের কথা বলিনি। কাজেই এ শব্দটি কোথা থেকে এলো আমি জানি না। যে নির্বাচন দেশে-বিদেশে প্রশংসিত সেখানে সংলাপের প্রশ্ন আসে কীভাবে! জাতিসংঘ বলেছে শেখ হাসিনার সাথে কাজ করতে তারা রাজি। এই নির্বাচনে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার বিপুল জয় হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে সংলাপ হাস্যকর।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের উপজেলা নির্বাচন আগামী মাসে, নির্বাচন কমিশন সিডিউল ঘোষণা করবে। আমরা স্থানীয় নির্বাচন সবসময় দলীয়ভাবে করি। জোটগতভাবে করি না। এর আগে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হয়নি। তবে এবার শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন আমরা দলীয় প্রতীকে করবো।

যারা মনোনয়ন চাইবেন তাদের প্রথমে তৃণমূল পর্যায়ে রেকোমেন্ডেশন আনতে হবে। জেলা-উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি তিনজনের নাম আমাদের কাছে দেবে। সেখান থেকে জরিপের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য প্রার্থীদের মনোনয়ন দেবেন। নির্বাচন আগেও জোটগতভাবে হয়নি এবারও হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের দল অনেক ঐক্যবদ্ধ। ‘৭৫ পরবর্তী সময়ে আমাদের সবচেয়ে কমসংখ্যক বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল। শেষ পর্যন্ত আপনারা দেখেছেন মাত্র দু’জন বিদ্রোহী ছিল। এটা আওয়ামী লীগের বৃহত্তর ঐক্যের ফসল।

কাদের বলেন, যারা দলে কোনো পদে নেই তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী পদায়ন করা হবে। বঞ্চিত নেতারা যেন হতাশাগ্রস্ত না হয়ে যায় সে ব্যাপারে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। হতাশা যেন তাদের গ্রাস না করতে পারে। তাদের খোঁজ-খবর আপনাদের রাখতে হবে। কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

বিজয় উদযাপন সমাবেশ সম্পর্কে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, সমাবেশে আপনারা যাবেন, আপনাদের সবার দায়িত্ব আছে। সমাবেশে আমাদের প্রমাণ করতে আমরা সুশৃঙ্খল একটি দল। উৎসবমুখরভাবে সমাবেশে উপস্থিত হবেন সমাবেশের সরঞ্জাম নিয়ে। তবে সমাবেশস্থলে ঢোকার আগে ফেস্টুন-ব্যানার বাইরে রাখতে হবে। গেটের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। নারীদের জন্য আলাদা গেটের ব্যবস্থা থাকবে। বেলা ২টার মধ্যে সমাবেশস্থলে পৌঁছাতে হবে। সমাবেশ শেষ না হওয়া বা প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সমাবেশস্থল ত্যাগ করবেন না।

কাদের বলেন, রাস্তায় যখন মিছিল করবেন পুরো রাস্তা দখল করবেন না। এক সাইড ফাঁকা রাখবেন। রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে মহাবিজয়ের মহাদাপট দেখাচ্ছে এমন যেন না হয়। সহিষ্ণু হতে হবে, বড় বিজয়ের সাথে বড় দায়িত্ব।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.