সর্বস্তরের শোকার্ত মানুষের ঢল মহসীন আলীর বাসভবনে

0

সিটিনিউজবিডি : সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও মৌলভীবাজার সদর আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মহসীন আলীর মৃত্যুর খবরে তার শহরের দর্জিরমহলের বাসভবনে হাজারও শোকার্ত মানুষের ঢল নেমেছ। আত্মীয়-স্বজনসহ অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।

রাজনীতিবিদ, সামাজিক, সাংস্কৃতিক নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের শোকার্ত মানুষ ছুটে আসেন তার বাসভবনে। এ সময় অনেককেই তার সুদীর্ঘ রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করতে দেখা যায়। এছাড়া তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

সৈয়দ মহসীন আলী সোমবার সকালে সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, তার মেয়ে সৈয়দা সানজিদা শারমিন ও তার ছোট ভাই সৈয়দ সলমান আলী।

মন্ত্রীর মৃত্যুর সংবাদ শুনেই তার বাসায় উপস্থিত হন সাবেক গণপরিষদ সদস্য, মৌলভীবাজার সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদ প্রশাসক মো. আজিজুর রহমান, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান, জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান বাবুল প্রমুখ উপস্থিত হন।

সাইফুর রহমান বাবুল জানান, গত ৩ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে ৪টায় নিউমোনিয়াজনিত কারণে বুকে প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি ঢাকার বারডেম হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে আইসিইউতে (নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র) থাকাকালে শুক্রবার সকালে হঠাৎ করে হার্ট এ্যাটাক হলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এ সময় তাকে ভেন্টিলেটর মেশিনে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের সাহায্যে লাইফসাপোর্টে রাখা হয়। তার হার্ট, কিডনি, ফুসফুসের সমস্যা বেশি করে বৃদ্ধি পেতে থাকে। ভোর রাতের দিকে তার শরীরের অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হয়।
তিনি জানান, মন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করলে এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে করে ৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে তাকে সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওখানে তার কিডনি, ফুসফুস, ডায়বেটিস, নিউমোনিয়া ইত্যাদি রোগ ধরা পড়ে।

তার মেয়ে সৈয়দা সানজিদা শারমিন বলেন, ‘কয়েক দিনের চিকিৎসার কারণে বাবা অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। আজ তিনি সকালের নাস্তা করেছেন এবং তার সঙ্গে থাকা মা সৈয়দা সায়রা মহসীন ও ছোট বোন সৈয়দা সাবরিনা শারমিনের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন। তিনি জেলার অনেকের বিষয়েও তাদের কাছে জানতে চেয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টার দিকে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে আইসিইউতে নিয়ে গেলেও তাকে বাঁচাতে পারেননি।’
এদিকে তার মরদেহ আসার বিষয়ে ও কোথায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

তিনি মৌলভীবাজার পৌরসভার তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান, মৌলভীবাজার সদর (মৌলভীবাজার-রাজনগর) আসনের দুইবারের সংসদ সদস্য ছিলেন। এছাড়া তিনি মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.