জামায়াতে বিদ্রোহ চলছে পদত্যাগ আর বহিস্কার

0

 

সিটি নিউজঃ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতাকারী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীতে চলছে বিদ্রোহ। চলছে ভাঙ্গাগড়ার খেলা। তাদের নিজেদের আদর্শিক ভূমিকা ও সাংগঠনিক রীতি নীতি সমুন্নত রেখে দীর্ঘসময় ধরে দলের মধ্যে কোন ধরনের বিদ্রোহ ভাঙ্গাগড়া বা দলের মধ্যে দ্বিমত প্রকাশের কোন নজির নেই। দেশের স্বাধীনতা বিরোধীতার কারনে সর্বমহলে সমালোচিত দলটি দেশের ক্ষমতারও স্বাদ নিয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে জামাতের বেশ ক’জন দণ্ডিত হয়ে ফাঁসির কাষ্ঠে গেছে।

আদালতের নির্দেশে জামায়াত রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনও হারায়। তাতেও দলে কখনো ভাঙ্গন কিংবা নেতৃত্বের সমালোচনা হয়নি। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে এসে দলটির মধ্যে চলছে বিদ্রোহ, চলছে বহিস্কার। দলটির অতীত ভূমিকার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা না চাওয়াসহ দুই কারণ উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামী থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির অন্যতম নীতি নির্ধারক ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক।

আজ শনিবার জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য মজিবুর রহমান মনজুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আব্দুর রাজ্জাক দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন। লন্ডনে বসে তিনি আওয়ামী লীগ সরকার বা জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিরোধী ভূমিকা পালন করেন।

যুক্তরাজ্য থেকে পাঠানো একটি চিঠিতে দলের আমির মকবুল আহমদের কাছে আব্দুর রাজ্জাক তার পদত্যাগপত্র পেশ করেন।  গতকাল শুক্রবার আব্দুর রাজ্জাকের ব্যক্তিগত সহকারী কাউসার হামিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

পদত্যাগের কারণ হিসেবে বলা হয়, জামায়াত ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করার জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চায়নি। একবিংশ শতাব্দীর বাস্তবতার আলোকে ও অন্যান্য মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনকে বিবেচনায় এনে দলটি নিজেদের সংস্কার করতে পারেনি।

রাজ্জাকের বড় ছেলে ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী জানান, শুক্রবার জামায়াতের আমির মকবুল আহমদের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তার বাবা। এদিকে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য মজিবুর রহমান মনজুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ শনিবার নিজেই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বহিষ্কারের বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ১৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার, আনুমানিক রাত সাড়ে সাতটার দিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সম্মানিত আমীর মকবুল আহমদের পক্ষ থেকে নির্বাহী পরিষদের একজন সম্মানিত সদস্য আমাকে জানান যে, আমার দলীয় সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।

মজিবুর রহমান আরো লিখেন, বেশ কয়েক বছর যাবত সংগঠনের কিছু বিষয়ে আমি দ্বিমত করে আসছিলাম। মৌখিক ও লিখিতভাবে বৈঠক সমূহে আমি প্রায়ই আমার দ্বিমত ও পরামর্শের কথা সম্মানিত দায়িত্বশীলদের জানিয়েছি। আভ্যন্তরীণ ফোরামের পাশাপাশি আকারে ইঙ্গিতে প্রকাশ্যেও আমি আমার ভিন্নমত প্রকাশ করে এসেছি।

তিনি বলেছেন, জামায়াতে রাজনৈতিক সংস্কারের যৌক্তিকতা, জামায়াতে প্রয়োজনীয় সংস্কার না হলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াতের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। আমার এরূপ খোলামেলা মত নিয়ে জামায়াতের সম্মানিত নেতৃবৃন্দের মাঝে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। ১৯৮৮ সালে ছাত্র শিবিরে যোগ দেন মজিবুর। এরপর ২০০৪ সালে যোগ দেন জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.