অভিযানের পরও রাসায়নিকের গুদাম থাকা দুঃখজনকঃ প্রধানমন্ত্রী

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিকের গুদাম সরানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সম্পূর্ণ সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বার বার অভিযান পরিচালনা করার পরও সেখানে রাসায়নিকের গুদাম থাকা দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আজ শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন পুরান ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের দেখতে যান তিনি। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পুরান ঢাকার অলি-গলি, রাস্তা; এগুলো আমাদের নতুনভাবে গড়ে তুলতে হবে। যেন ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা ঢুকতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখানে (চকবাজার) পানি পাওয়া ছিল কষ্টকর। পুরনো জেলখানার পুকুর থেকে পানি আনা হয়েছে। সব বাড়ি-ঘর থেকে পানি আনা হয়েছে, রিজার্ভ ট্যাংক থেকে পানি দিয়েছে, ওয়াসা সহযোগিতা করেছে। তিনি বলেন, এই ধরনের আগুন লাগলে পানির যেন অভাব না হয় সে বিষয়টা সবাইকে খেয়াল করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকায় অনেক পুকুর ছিল। ধোলাইখাল থেকে শুরু করে অনেক খাল ছিল, শান্তিনগর খাল, সেগুনবাগিচা খাল। দুর্ভাগ্য হলো সেগুলোতে হয় বক্স-কালভার্ট করা হয়েছে, অথবা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। পুকুরগুলো একে একে ভরাট করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশবাসীকে এইটুকু বলবো তারা যেন দোয়া করেন। আমাদের দেশে এ ধরনের দুর্ঘটনা যেন আর না ঘটে, আর সবাই সতর্ক থাকবেন।

এর আগে, ‌ঢামেকে পৌঁছেই প্রধানমন্ত্রী বার্ন ইউনিটের দ্বিতীয় তলার নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের (আইসিইউ) সামনে যান। সেখানে তার সঙ্গে ছিলেন ‘শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট’র প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম।

প্রধানমন্ত্রী আইসিইউতে গেলেও চিকিৎসাধীনদের ইনফেকশন হবে বা চিকিৎসায় ব্যাঘাত ঘটবে চিন্তা করে ভেতরে ঢোকেননি বলে জানান ডা. কালাম। পরে প্রধানমন্ত্রী বাইরে অপেক্ষমান স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন।

শেখ হাসিনা তাদের বলেন, আপনারা চিন্তা করবেন না। চিকিৎসার ব্যয়ভার সরকার দেখছে। রোগীরা সুস্থ হলে তাদের পুনর্বাসনের চিন্তাও করছে সরকার। এসময় চিকিৎসকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা অনেক কষ্ট করছেন, করেছেন। রোগীরা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে সেটাও দেখবেন।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর চকবাজার এলাকার নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের একটি ভবনে বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা ১০ মিনিটে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট একযোগে কাজ করে বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। উদ্ধার অভিযান চলে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। এ ঘটনায় অন্তত ৬৭ জন নিহত হন। আহতদের মধ্যে অনেককে ঢামেক হাসপতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে নয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.