শিক্ষাঙ্গণ: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে পরীক্ষার্থীদের ‘ডিস্টার্ব’ হবে বলে এবারও হলে ঢোকেননি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
দেশের ২৩টি কেন্দ্রের ৪৪টি ভেন্যুতে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত একযোগে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে এবার (২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ) ৮৪ হাজার ৭৮৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন।
পরীক্ষা চলাকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্র পরিদর্শনের শুরুতেই কলা ভবনের মূল ফটকের সামনে মোহাম্মদ নাসিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এক মিনিটের জন্যও যদি আমি পরীক্ষার হলে প্রবেশ করি, তাহলে পরীক্ষার্থীদের ডিস্টার্ব হবে। কারণ পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীদের প্রতিটি সেকেন্ডই অনেক মূল্যবান। তাই আমি অন্যান্য বছরের মতো এবারও পরীক্ষার হলে প্রবেশ করব না। যারা পরীক্ষা দিচ্ছে তাদের সবার জন্য আমার শুভ কামনা থাকল।’
মন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষা অত্যন্ত সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জালিয়াতি ঠেকাতে কয়েক দিন আগে থেকেই কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
এবার একটি অসাধু চক্র প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টা করেছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ।’
আপনি সব সময়ই কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধের কথা বলে আসছেন কিন্তু অগ্রগতি কতটুকু— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘কোচিং সেন্টারগুলোতে সব সময়ই অসাধু পন্থা অবলম্বন করা হয়। যারা মেধাবী তারা এমনিতেই মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারবে এবং ভবিষ্যতে নামকরা ডাক্তার হতে পারবে।’
১০০ নম্বরের (পদার্থবিজ্ঞান ২০, রসায়ন ২৫, জীববিজ্ঞান ৩০, ইংরেজি ১৫ ও সাধারণ জ্ঞান ১০ নম্বর) নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের এ পরীক্ষায় এবারও পাস নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাব সম্পন্ন করতে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী বিভিন্ন কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করেন।