প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করলেন মেঘনা-গোমতী সেতু

0

সিটি নিউজ ডেস্ক :  দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্বিতীয় মেঘনা সেতু ও গোমতী সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতু ২টি উদ্বোধন করেন তিনি।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের ১৬ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর উপর দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান।

এদিকে কাঁচপুর, দ্বিতীয় মেঘনা, গোমতী সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আবু সালেহ মো. নুরুজ্জামান জানান, নবনির্মিত কাঁচপুর ব্রীজ ইতোমধ্যেই যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। নতুন ২টি সেতু চালু হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিশেষ করে ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা কিছুটা হলেও আরামদায়ক হবে।

নুরুজ্জামান জানান, জাপানী ঠিকাদারী প্রতিষ্টান ওবায়সি করপোরেশন, শিমঝু করপোরেশন, জেএফএফ করপোরেশন ও আইএইচআই ইনফ্রা সিস্টেম্স কোম্পানী লি. ২০১৬ সালের জানুয়ারীতে দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতীর সঙ্গে দ্বিতীয় কাঁচপুর ব্রীজের কাজ শুরু করে।

এই তিনটি সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে, ৮ হাজার ৪শ’ ৮৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানের জাইকা ৬ হাজার ৪শ’ ৩০ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে।

এই প্রকল্পে প্রস্তাবিত ব্যয়ের তুলনায় ১ হাজার কোটি টাকা কম খরচ হয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, চুক্তি অনুযায়ী জাপানের প্রতিষ্ঠানগুলো ২০১৬ সালের জানুয়ারীতে কাজ শুরু করে এবং ২০১৯ সালের জুনে সম্পন্ন করার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়।

কিন্তু ২০১৬ সালের জুলাইতে হলি আর্টিজান বেকারীতে সন্ত্রাসী হামলার কারণে নির্মাণ কাজ চার মাস বন্ধ থাকে। এ কারণে সরকার নির্মাণ কাজ ৬ মাস বাড়িয়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেয়।

প্রকল্প পরিচালক জানান, সেতু তিনটির নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের সাত মাস আগেই সম্পন্ন হয়।

নুরুজ্জামান জানান, ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় ৪০০ মিটার দীর্ঘ নতুন কাঁচপুর সেতু নির্মাণ কাজ ২০১৭ সালে শেষ হয়।

তিনি জানান, নতুন কাঁচপুর সেতু পুরানোটির চেয়ে প্রস্থে ২ মিটার বেশি। কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই পুরানো সেতুর সংস্কার কাজ শুরু করেছে।

যথাক্রমে এক হাজার ৭৫০ কোটি ও ১ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ৯৩০ মিটার মেঘনা ও ১,৪১০ মিটার গোমতি সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

নুরুজ্জামান জানান, জনসাধারণের ঈদ যাত্রার সুবিধার্থে ৩১ মে কাঁচপুর সেতুর পূর্বাংশের ওভারপাস খুলে দেয়া হবে। বন্দর নগরী ও রাজধানীর মধ্যে দুটি যাতায়াত পথ মেঘনা ও গোমতি সেতুতে এসে এক হয়ে গেছে। প্রযুক্তিগতভাবে পুরানো কাঁচপুর সেতুতে দুটি যাতায়াত পথ থাকলেও এর প্রশস্ততা যথেষ্ট নয়।

এমতাবস্থায় সেতুর মুখে এসে যানজটের সৃষ্টি হয়। ঈদ ও সপ্তাহের শেষে যখন যান চলাচল বেড়ে যায় তখন পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটে। যাত্রী ও চালকগণ ১৯২ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্যস্ততম এই পথে পাঁচ ঘন্টার স্থলে ১০ থেকে ১২ ঘন্টায় গন্তব্যে পৌঁছেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.