বিসিএস’র ফল পুনঃমূল্যায়নের দাবিতে মানববন্ধন

শিক্ষাঙ্গণ : ৩৪তম বিসিএস’র ফলাফলে অনেক অসঙ্গতি রয়েছে উল্লেখ করে পরীক্ষার পূর্বে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির আলোকে ৪০৪টি শূণ্যপদে কৃতকার্য প্রার্থীদের মূল্যায়ন এবং ৩৩তম বিসিএস’র ন্যায় মেধা ও প্রাধিকার কোটার ফলাফল আলাদাভাবে প্রকাশের দাবি জানিয়েছে বিসিএস ক্যাডার বঞ্চিতরা। একইসঙ্গে ৩৪তম বিসিএস’র ফল পুনঃমূল্যায়নেরও দাবি জানান তারা।

শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।

ক্যাডার বঞ্চিতরা বলেন, ৩৪তম বিসিএসে শূণ্যপদ থাকা সত্ত্বেও নন-ক্যাডারদের নিয়োগ না দিয়ে তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। বিগত বিসিএসগুলোতে কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে শূণ্যপদ পূরণের জন্য মেধা কোটা থেকে প্রার্থী নিয়োগ করা হতো। এমনকি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত পদসংখ্যার কয়েকগুণ পদেও মেধাকোটা থেকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল ৩১তম ও ৩৩তম বিসিএসে।

তারা বলেন, ৩৪তম বিসিএসে যোগ্য প্রার্থী থাকার পরও নিয়োগ না দিয়ে পদ খালি রেখে নন-ক্যাডার তালিকায় রেখে প্রার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। সাধারণ মেধাকোটার প্রার্থী ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও অন্যান্য কোটার প্রার্থীরাও এ নির্মম বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। তাছাড়া ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে রাতে। সেখানে সঠিকভাবে পূরণ করা হয়নি মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধী কোটা। বিশেষ একটি শ্রেণিকে সুবিধা দিতেই পদ শূণ্য রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিসিএস ক্যাডার বঞ্চিতরা।

৩৪তম বিসিএসে ক্যাডার বঞ্চিত প্রার্থী সুরাইয়া সাবরিনা বলেন, ‘মেধা ও প্রাধিকার কোটার আলাদা করে ফলাফল পুনঃপ্রকাশ করা হোক এবং ৩৪তম বিসিএসে ৪০৪টি শূণ্যপদে আমাদের যাদের উত্তীর্ণ দেখানো হয়েছে তাদের সুযোগ দেওয়া দরকার। কোন বিশেষ শ্রেণিকে সুবিধা দিতে দেওয়া হবে না। আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে। ’

স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন ও নন-ক্যাডার থেকে নিয়োগের দাবি জানান তিনি।

সমাবেশে বিসিএস ক্যাডার বঞ্চিত প্রায় শতাধিক প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন।

ছয়দফা দাবিতে সারাদেশে আন্দোলন করছে ৩৪তম বিসিএস ক্যাডার বঞ্চিতরা। তাদের দাবিগুলো হলো, ৩৪তম বিসিএস’র প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির আলোকে বিভিন্ন ক্যাডার পদে প্রায় ৪০৪টি শূণ্যপদ উত্তীর্ণ/ কৃতকার্যদের দ্বারা পূরণ, ৩৩তম বিসিএস’র ন্যায় ৩৪তম বিসিএস’র ফলাফল প্রকাশ, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য বিগত বিসিএসগুলোর ন্যায় ৩৪তম বিসিএস’র চূড়ান্ত ফলাফল মেধাকোটা ও প্রাধিকার কোটা আলাদা করে প্রকাশ করা, ৩৩তম বিসিএস’র (৫৪%) তুলনায় ৩৪তম বিসিএস-এ (২৫%) কম কৃতকার্যকে বিবেচনা করা হয়েছে, এ বৈষম্য দূরীকরণ, ভবিষ্যতে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের সময় স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ ও বৈষম্য দূরীকরণের জন্য কৃতকার্য প্রার্থীদের তালিকা মেধার ভিত্তিতে প্রকাশ করা এবং ৩৪তম বিসিএসে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশকৃত ৬ হাজার ৫৮৪ জন উত্তীর্ণ প্রার্থী থেকে সকল ক্যাডারের শূণ্যপদ পূরণের নিমিত্তে প্রথম প্রকাশিত ফলটি বাতিল।