আলেমরা জানের ভয়ে মুনিরীয়ার কারামাত বর্ণনা করতেন

0

সিটি নিউজঃ মুনিরীয়া যুব তবলীগের প্রত্যেক মাহফিলে আলেমদের বক্তব্য কেন্দ্র থেকে লিখে দেওয়া হতো। বিভিন্নভাবে চাপ দেয়া হতো কেন্দ্র লিখিত বক্তব্যে উল্লেখিত মিথ্যা ও বানোয়াট কারামাত বর্ণনা করার জন্য। অন্যথায় তাদের জান মালের ক্ষতি করতো বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন মুনিরীয়া ওলামা পরিষদের আলেমরা। তারা এ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মুনিরীয়া যুব তবলীগের ওলামা পরিষদের সকল কর্মকান্ড থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বিরত থাকবেন বলে ওয়াদা করেন।

আজ রবিবার ( ২৬ মে) দুপুরে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির উগ্র সমর্থক কর্তৃক আলেম, ওলামা, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ ও সাধারণ জনগনের উপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি ‌‍‍‍‌‌‌‌‘ওলামা পরিষ’ এর সংবাদ সম্মেলনে এ সময় বক্তব্য রাখেন পরিষদের সভাপতি মুফতি মাওলানা ইব্রাহিম হানফি, সহ সভাপতি মাওলানা মমতাজুল হক নুরী, পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আশেকুর রহমান, তথ্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ মুহম্মদ আবদুল্লাহ রশিদী, এশায়েত সম্পাদক মাওলানা এমদাদুল হক মুনিরী, সহ এশায়েত সম্পাদক শাহজাহান নোমান ও কাগতিয়া কামিল মাদরসার সাবেক শিক্ষক মাওলানা নুরুল আবছার।

পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা জানের ভয়ে এতোদিন মুনিরীয়া তবলীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারিনি। এখন সময় এসেছে, সুযোগ এসেছে ভন্ড মুনির উল্লাহ’র মুখোশ উন্মোচন করার। আমরা জানের ভয়ে, হুমকীর সম্মুখীন হয়ে অতিতের অপরাধ ও কৃতকর্মের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা’র কাছে তাওবা করছি। এ সময় দায়িত্বশীলরা ইতিমধ্যে সংগঠনের সকল কর্মকান্ড থেকে নিজেদের বিরত রাখার ঘোষনা দেওয়ায় মুনিরিয়া যুব তবলীগ কমিটির ওলামা পরিষদের আর কোনো অস্তিত্ব নেই বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমরা আগে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির ওলামা পরিষদের বিভিন্ন পদে আসীন ছিলাম। কিন্তু ভণ্ডপীর মুনির উল্লাহর নির্দেশে বিভিন্ন সময় মাহফিলে ওলামাদের দ্বারা নির্ধারিত বক্তব্য লিখিত আকারে পাঠিয়ে পাঠ করা হতো। যা কোরআন, হাদিস তথা ইসলামি শরিয়তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও উস্কানিমূলক। আমরা লিখিত বক্তব্যের বাইরে কিছু বলতে গেলে মুনির উল্লাহর রোষানলের শিকার হতাম এবং অনেক ওলামা বিভিন্ন সময় নির্যাতিত হয়ে সংগঠন ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।

তার লালিত গুণ্ডা বাহিনী মুনির উল্লাহর মতাদর্শের বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু বললে তাদের হত্যা, হামলা, মামলাসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং জমিজমা দখল করতো। মাওলানা শফিউল আলম নেজামী, মফজল আহমদ নঈমী, অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দীন বখতেয়ার, মাওলানা মুঈনুদ্দীন রেজভী, মাওলানা নুরুন্নবীসহ অসংখ্য আলেম-ওলামার রগ কাটা, শারীরিক নির্যাতন, লাঞ্ছিত করা ছাড়াও নিরীহ কিশোর নঈমুদ্দীনকে হত্যা করেছে। সর্বশেষ মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল আনোয়ার ও আওয়ামী লীগ নেতা মোজাম্মেলকে হত্যার উদ্দেশে হামলা চালায়।

সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতনের শিকার হাফেজ মাওলানা নুরুল আবছার, আল্লামা গাজী মুঈনুদ্দীন রেজভী, মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ তৈয়বুল ইসলাম তাদের ওপর নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা দেন। এ ছাড়াও যে সকল আলেম ও ভাই-বোনেরা এখনো মুনিরীয়া তবলীগের সাথে সম্পৃক্ত আছেন, তাদের এ ভ্রান্ত পথ ও মত ছেড়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সঠিক পথে চলে আসার আহবান জানান তারা।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ওলামা পরিষদের মুফতি ইব্রাহিম হানফী, মাওলানা এমদাদুল হক মুনিরী, সৈয়দ মো. আবদুল্লাহ রশিদী, মাওলানা মমতাজুল হক নুরী প্রমুখ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.