২২ কলেজে শিক্ষকদের দ্বিতীয় দিনের কর্মবিরতি

0

শিক্ষাঙ্গণ : বেতন কাঠামোতে বৈষম্যের প্রতিবাদে বৃহত্তর চট্টগ্রামের ২২টি সরকারি কলেজে দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষকরা। রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সরকারি কলেজগুলোতে কোন ক্লাস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।

একই দাবিতে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও কর্মবিরতি পালন করছেন। অফিসে উপস্থিত থাকলেও কর্মকর্তারা দাপ্তরিক কাজ থেকে বিরত আছেন।

অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে সিলেকশন গ্রেড বাতিল করে সরকারি কলেজ শিক্ষকদের সঙ্গে অন্য ক্যাডারের বৈষম্য সৃষ্টির প্রতিবাদে এ কর্মসূচীর ডাক দিয়েছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। সারাদেশের ৩০৫টি সরকারি কলেজ, শিক্ষাবোর্ড, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরে এ কর্মসূচী পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সাংগঠনিক সচিব মো. জহুরুল হক স্বপন জানান, ‘সিলেকশন গ্রেড বাতিলের মধ্য দিয়ে সরকারি কলেজ শিক্ষকদের সঙ্গে অন্য ক্যাডারের যে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে, তা কোনো অবস্থায় মেনে নেওয়া যায় না। সিলেকশন গ্রেড না থাকায় অধ্যাপকরা চতুর্থ গ্রেড থেকে অবসরে যাবেন, এতে অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা উচ্চ পদগুলোতে আসবেন। এটি শিক্ষকদের সঙ্গে প্রতারণার সামিল। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবো। শিক্ষকরা সম্মানের জন্য শিক্ষকতা করে, অর্থের জন্য নয়। ’

তিনি বলেন, সরকারি কলেজের মতো চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড এবং মাউশিতে কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম সিটি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান আলেক্স আলিম বলেন, ‘শিক্ষকরা মেধাবি জাতি তৈরীর কারিগর। শিক্ষকদের পশ্চাতে রেখে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। একই পরীক্ষা দিয়ে অন্য ক্যাডারদের মতো শিক্ষকরা বিসিএস পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়। তবে শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এতো বৈষম্য কেন? আমরা কোন বৈষম্য চাই না। শিক্ষকদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করলে জাতিরই লাভ হবে। ’

বেতন কাঠামোতে সরকারি শিক্ষকদের সঙ্গে প্রশাসন ক্যাডারের যে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে তা দ্রুত নিরসনের দাবি জানান তিনি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.