২০১৯-২০ অর্থবছরের মেগা বাজেট পাস

0

সিটি নিউজ ডেস্ক : জাতীয় সংসদে আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট পাস করা হয়েছে। এটি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের প্রথম বাজেট। আর বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের টানা এগারোতম। জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রোববার সংসদ অধিবেশন শুরু হয় সকাল ১০ টায়। এরপর বাজেটের ওপর আলোচনায় বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা ৪৮৪টি ছাঁটাই প্রস্তাব এবং ৫৯টি দাবি উত্থাপন করেন। ৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মঞ্জুরি দাবি ও ছাঁটাই প্রস্তাবের উপর আলোচানা হয়। পরে ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। এরপর দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট পাস করার জন্য অর্থমন্ত্রী তা উপস্থাপন করেন। পরে সংসদে কণ্ঠভোটে বাজেট পাস করা হয়। এ সময় সরকার দলীয় সংসদ্যরা টেবিল চাপড়ে অর্থমন্ত্রীকে সমর্থন ও স্বাগত জানান। ১ জুলাই থেকে নতুন এ বাজেট কার্যকর হবে।

পাস হওয়া ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য সংযুক্ত তহবিল থেকে ৬ লাখ ৪২ হাজার ৪৭৮ কোটি ২৭ লাখ ২০ হাজার টাকার নির্দিষ্টকরণ বিল পাস করা হয়। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনের শুরুতেই মঞ্জুরি দাবিতে আলোচনা করার কথা জানান। সরকার, বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা এসব দাবিতে আলোচনা করেন।

গত ১৩ জুন জাতীয় সংসদে ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ, সময় এখন আমাদের: সময় এখন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ২০১৯-২০ অর্থবছরের ৫,২৩,১৯০ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ ব্যয় মেটাতে আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। আর অনুদানসহ আয় হবে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা। আয় ও ব্যয়ের ফারাক ঘাটতি থাকবে (অনুদানসহ) ১ লাখ ৪১ হাজার ২১২ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া এ ঘাটতির পরিমাণ হবে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি। নতুন বাজেটে কর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ১০৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআর কর রাজস্ব ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, এনবিআরবহির্ভূত কর রাজস্ব হচ্ছে ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। কর ব্যতীত আয় হবে ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। এছাড়া বৈদেশিক অনুদানের পরিমাণ আগামী বছরে দাঁড়াবে ৪ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা। সামগ্রিক ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক উৎস থেকে সংগ্রহ করা হবে ৬৩ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে নেওয়া হবে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা। এছাড়া সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেয়া হবে ২৭ হাজার কোটি টাকা। অন্যান্য খাত থেকে নেয়া হবে ৩ হাজার কোটি টাকা।

নির্দিষ্টকরণ বিল পাস: আগামী অর্থবছরের বাজেট ব্যয়ের বাইরে সরকারের বিভিন্ন ধরনের সংযুক্ত দাঁড়ায় মিলিয়ে সংযুক্ত তহবিল থেকে ৬ লাখ ৪২ হাজার ৪৭৮ কোটি ২৭ লাখ ২০ হাজার টাকার নির্দিষ্টকরণ বিল কণ্ঠভোটে পাস করা হয়।

মঞ্জুরি দাবি ও ছাঁটাই প্রস্তাব: আগামী অর্থবছরের বাজেটের ওপর সংসদে উত্থাপিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ খাতের ৫৯টি মঞ্জুরি দাবির বিপরীতে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা ৪৮৪টি ছাঁটাই প্রস্তাব আনেন। এরমধ্যে ৪টি মন্ত্রণালয়ের বিপরীতে আসা দাবিগুলো আলোচনার জন্য গৃহীত হয়। বাকি প্রস্তাবগুলো কোনো আপত্তি ছাড়াই সরাসরি কন্ঠভোটে পাস হয়ে যায়।

যে চারটি মঞ্জুরি দাবি নিয়ে আলোচনা হয়, এর মধ্যে কৃষিখাতে বরাদ্দের বিরুদ্ধে ছাঁটাই প্রস্তাব দিয়ে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ ও খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ হলেও কৃষকরা উৎপাদিত ফসলের দাম পাচ্ছেন না। ধানের দাম না পেয়ে আগুণ দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনাও কোথাও কোথাও ঘটেছে। হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ খেলাপীরা নিয়ে গেলেও সামান্য ঋণ নেওয়ার কারণে ৪৫ হাজার কৃষকের বিরদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। কৃষকদের ঋণ কখনো মওকুফ করা হয় না। অথচ ঋণ খেলাপীদের বিরদ্ধে মামলা হয় না। সরকারকে কৃষকবান্ধব হতে হবে, মিলার বান্ধব নয়। কৃষকদের ঋণের সুদ মওকুফ ও পর্যাপ্ত ভর্তুকি দিতে হবে।

জবাবে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব এবং নানা পদক্ষেপ নিয়েছে বলেই উৎপাদন কয়েকগুণ বেড়েছে। এখনও ৪০ ভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশে রফতানি আয় অনেক বেশি। রফতানিকে বহুমুখী করতে না পারলে অর্থনীতি বিকশিত হবে না। কৃষিকে বাণিজ্যকরণ করতে পারি তবে রফতানিকে বহুমুখী করতে পারবো।

শিক্ষাখাতে বরাদ্দের বিরোধীতা করে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা বলেছেন, যখন একটি সরকার এক দশক ধরে ক্ষমতায় থাকার পরেও বিদেশ থেকে শিক্ষক আনতে চায়, সেই সরকরের ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার থাকে না। প্রাথমিক শিক্ষার মান বাড়াতে সরকার-বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের নিয়ে একটি শিক্ষা উন্নয়ন কমিটি গঠনের দাবি জানিয়ে বলেন, লন্ডন ভিত্তিক একটি সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনের জরিপ অনুযায়ী, এশিয়ার শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, ফিলিপাইনসহ কয়েকটি দেশ থাকলেও আমাদের দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই। শিক্ষার মান ক্রমেই কমে যাচ্ছে।

এসব অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, যারা (জিয়াউর রহমান) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রণক্ষেত্র করে, শিক্ষার্থীদের হাতে মাদক তুলে দেয়, হিজবুর বাহারে মেধাবী ছাত্রদের বিপদগামী করে। যারা এসব অনৈতিক কাজগুলো করে তাদের কাছে নৈতিকতার ছবক নেওয়া একটু হাস্যকরই মনে হয়। বিএনপি-জামায়াতের আমলে নিয়ম বিরুদ্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। এখন সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাচাই করার সময় এসেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের আমলে কোথায় কোথাও এমপিওভুক্ত করা হয়েছে? আমরা দেখেছি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত ব্যাপারে তারা বৈষম্য করেছে। কোনো কোনো প্রভাবশালী মন্ত্রী তার নিজ এলাকায় একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করেছেন। যেগুলোর মান ঠিক নেই, শিক্ষক নেই। তারা নিয়ম বিরুদ্ধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করেছে। কাজেই অতীতের সকল এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের মান যাচাই করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।

স্বাস্থ্যখাতের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে ছাঁটাই প্রস্তাব দিয়ে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা বলেন, বিএনপি আমলে ডাক্তাদের দলীয়করণের কারণে দেশের স্বাস্থ্য খাতের এই অবস্থা। চিকিৎসা নিতে মানুষ বিদেশে যাচ্ছে। সাত হাজার কোট টাকা ব্যয় করে বিদেশে কিচিৎসার জন্য। কিন্তু দেশেও ভাল চিকিৎসা হচ্ছে। তবে দেশের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে মানুষ দরিদ্র হচ্ছে। সবাই ঢাকাল কোন না কোন হাসপাতালে এ্যাটাসমেন্ট থাকে। এই এ্যাটাচমেন্ট বন্ধ করুন। মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি বন্ধ করুন।

জবাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য সেবা মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে গেছে। বিএনপি কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল। আমরা ফের সেটা চালু করেছি। বাংলাদেশে রাতকানা রোগ নেই। টিকাদান শতভাগ অর্জিত হয়েছে। আমেরিকায় বর্তমানে গড় আয়ু ৭৮ বছর। ইনশাল্লাহ আমরা দ্রুতই সেই পর্যায়ে উন্নীত হব। সরকারিখাতে ৩৫টি মিলে প্রায় ১০০টি মেডিকেল কলেজ। বিএনপি-জামায়াত আমলে ১৫টিও ছিল না। বিএনপি-জামায়াত শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিট গঠন করে পোড়া মানুষকে চিকিৎসা দিয়ে বাঁচিয়েছেন। সকল রোগের চিকিৎসায় এখন বাংলাদেশে হচ্ছে। বেশিরভাগ মানুষই বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন। একমাত্র ধণাঢ্য ব্যক্তি ছাড়া কেউ বিদেশে চিকিৎসা নিতে যায় না। ক্ষমতায় থাকতে খালেদা জিয়া-তারেক রহমানরা কখনও দেশে চিকিৎসা নেননি, তাদের মুখে চিকিৎসা নিয়ে কোন কথা মানায় না।

ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ প্রসঙ্গে বিরোদী দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সদস্যরা বলেন, বিশেষ বরদ্দ নিয়ে স্বচ্ছতার প্রশ্ন আছে। বরাদ্দ প্রদানে দুর্নীতি হচ্ছে। সোলার প্রদানে বেশি দাম নেয়া হচ্ছে। একটি বিশেষ কোম্পানি থেকে সোলার নিতে বাধ্য করায় বেশি দাম নেয়া হয়। এতে অর্থের অপচয় হচ্ছে। শহরে সোলার কমিয়ে গ্রামে বরাদ্দ দেওয়া উচিত। মন্ত্রীর প্রশংসা করে সদস্যরা বলেন, মন্ত্রণালয়ের সমস্যা অনেক। ডিসিদের কাছ থেকে তালিকা নিতে হয়। এতে সংসদ সদস্যদের অবমূল্যায়ন করা হয়। ঈদের সময় ত্রাণ দেয়া হয়। কিন্ত তালিকা অনুয়ায়ী দেয়া হয় না। দেয়া হয় স্লিপ অনুযায়ী। এতে অনিয়ম হয়। টিআর কাবিখার বরাদ্দ যাতে সঠিকভাবে হয় তার নজরদারি করুণ।

জবাবে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবেলায় বিশ্বে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন দুর্যোগ সহনীয় রাষ্ট্র, প্রাকৃতিক দুর্যোগকে আমরা আর ভয় পাই না। বড় বড় দুর্যোগে মৃতের সংখ্যা আমরা নগন্য পরিমাণে নামিয়ে আনতে পেরেছি। বিএনপি-জামায়াত সরকার ঘুমিয়ে ছিলেন বলে তাদের আমলে ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল ভয়াল প্রাকৃতিক দুর্যোগে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে, শত শত কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট হয়েছে। আসলে বিএনপি সরকার ছিল ঘুমন্ত।

তিনি বলেন, হেফাজতের ওপর ভর করে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার শত শত কোরআন শরিফ পুড়িয়েছে, নির্বাচন ঠেকানো ও আন্দোলনের নামে অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। তাদের মুখে সমালোচনা মানায় না। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার আরও তিনশটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করবে। মানুষের সঙ্গে প্রাণী সম্পদ রক্ষায় আরও ৫শ’টি মুজিব কেল্লা নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। গৃহহীনদের জন্য ৩ হাজার দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। জাপানের মতে বাংলাদেশকেও দুর্যোগ সহনীয় দেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

বাজেটে খাতওয়ারি বরাদ্দ: খাতওয়ারি বরাদ্দের মধ্যে অর্থ বিভাগের ব্যয় ২ লাখ ২৬ হাজার ১৭৬ কোটি টাকা। ব্যয়ের দিক থেকে সবচেয়ে কম রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে, ২৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। প্রতিরক্ষায় বরাদ্দ ৩২ হাজার ৫২০ কোটি টাকা এবং স্থানীয় সরকার বিভাগে ৩৪ হাজার ২৪১ কোটি টাকা। জাতীয় সংসদ খাতে ৩২৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় খাতে ৩ হাজার ৫২৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ২৪১ কোটি টাকা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে ১ হাজার ৯২০ কোটি টাকা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ২ হাজার ৯৪১ কোটি, সরকারি কর্মকমিশন খাতে ১০২ কোটি ২৭ লাখ টাকা। অর্থ বিভাগ, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক কার্যালয় খাতে ২৩৮ কোটি ২২ লাখ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে ২ হাজার ৮৯৯ কোটি ৪৭ লাখ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে ৩ হাজার ৪১ কোটি ৫৬ লাখ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ খাতে ১৬ হাজার ৩২ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।

পাশাপাশি পরিকল্পনা বিভাগে ১ হাজার ২৩১ কোটি লাখ, বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে ১৪৯ কোটি ১০ লাখ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে ৩৭৫ কোটি ৩৪ লাখ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ৬৩২ কোটি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ১ হাজার ৬২০ কোটি ৫৩ লাখ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে ৩৮ কোটি ৩২ লাখ, আইন ও বিচার বিভাগে ১ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা ধরা হয়। জননিরাপত্তা বিভাগে বরাদ্দ ২১ হাজার ৯২৩ কোটি ১৭ লাখ, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগে ৩৫ কোটি ৩৮ লাখ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ২৪ হাজার ৪১ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে ২৯ হাজার ৬২৪ কোটি ৯০ লাখ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় খাতে ১৬ হাজার ৪৩৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা খাতে ১৯ হাজার ৯৪৪ কোটি ৩০ লাখ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে ১ হাজার ৯৩০ কোটি ৩৯ লাখ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে ৬ হাজার ৮৮১ কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ৩ হাজার ৭৮৪ কোটি ৭৯ লাখ ৭০ হাজার, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ৩১৩ কোটি ৪৮ লাখ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে ৬ হাজার ৬০৩ কোটি ৮৪ লাখ, তথ্য মন্ত্রণালয়ে ৯৮৯ কোটি ১৫ লাখ এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫৭৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ হাজার ৩৩৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে ১ হাজার ৪৮৯ কোটি ১২, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগে ২ হাজার ৪৪৯ কোটি ৪৭ লাখ, শিল্প মন্ত্রণালয়ে ১ হাজার ৫৫৫ কোটি ৯১ লাখ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে ৮০০ কোটি ১৬ লাখ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগে ১ হাজার ৯৮৫ কোটি ৭৯ লাখ, কৃষি মন্ত্রণালয়ে ১৪ হাজার ৫৩ কোটি ৪০ লাখ এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় খাতে ২ হাজার ৯৩২ কোটি ৩৩ লাখ ৪৯ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় খাতে ১ হাজার ৪৯৬ কোটি ৩১ লাখ, ভূমি মন্ত্রণালয় খাতে ১ হাজার ৯৪৩ কোটি ৮০ লাখ ৮৮ হাজার, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে ৭ হাজার ৯৩২ কোটি ৪৫ লাখ, খাদ্য মন্ত্রণালয়ে ১৭ হাজার ১৫২ কোটি ৯৯ লাখ ৮৭ হাজার এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৯ হাজার ৮৭১ কোটি ৫১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।

এছাড়া সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে ২৯ হাজার ২৭৪ কোটি ৮ লাখ, রেলপথ মন্ত্রণালয়ে ১৬ হাজার ৩৫৭ কোটি ৯০ লাখ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে ৩ হাজার ৮৩২ কোটি ৭৭ লাখ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে ৩ হাজার ৪২৬ কোটি ৩৪ লাখ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে ৩ হাজার ৪৬০ কোটি ৯১ লাখ, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ১ হাজার ১৯৪ কোটি ৪৮ লাখ ৩২ হাজার, বিদ্যুৎ বিভাগ ২৬ হাজার ৬৪ কোটি ৬৯ লাখ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ৪ হাজার ৫৫৩ কোটি ৪৮ লাখ, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ৫৯০ কোটি ৯৪ লাখ, দুর্নীতি দমন কমিশন খাতে ১৪০ কোটি ১৭ লাখ এবং সেতু বিভাগে ৮ হাজার ৫৬৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে ৭ হাজার ৪৫৩ কোটি ৬০ লাখ, সুরক্ষা সেবা খাতে ৩ হাজার ৬৯৪ কোটি ৯২ লাখ ২৪ হাজার এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগে বরাদ্দ ৫ হাজার ৭৮৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

১৩ জুন সংসদে বাজেট উপস্থানের পর মোট ২৫৫ জন সংসদ সদস্য ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে ৫১ ঘন্টা ৫২ মিনিট আলোচনা করেন। সম্পূরক বাজেট আলোচনায় আরো ১৪ জন সদস্য অংশ নিয়ে ৩ ঘন্টা ৪৪মিনিট আলোচনা করেন।

বাজেট পাস হওয়ার পর অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল স্পিকারের অনুমতি নিয়ে দাঁড়িয়ে সংসদ সদস্য ও সংশ্লিষ্টদের রবিবার সন্ধ্যায় বাজেটোত্তর নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানান। সংসদের বৈঠক আগামী ৭ জুলাই বিকেল পাচটা পর্যন্ত মূলতবি করা হয়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.