নগরে সেবা সংস্থার রাস্তার কাজের জন্য যানজটঃ বন্দর চেয়ারম্যান

0

জুবায়ের সিদ্দকীঃ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ বলেছেন,  পোর্ট কানেকটিং (পিসি) সড়ক সংস্কার, বারিক বিল্ডিং থেকে ফকিরহাট পর্যন্ত ওয়াসার পাইপ লাইন ও সিমেন্ট ক্রসিং এলাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের জন্য মূল সড়ক সংকুচিত হয়ে যানজট বেড়েছে। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি কারণে ভয়াবহ যানজটের অন্যতম কারণ। এতে বন্দর কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই দায়ী নয়। নগরে বিভিন্ন ভাবে সেবা সংস্থাগুলোর উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালিত হওয়া এবং বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটে খানা খন্দের সৃষ্টির কারণে স্বাভাবিক নিয়মে গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। এটাও যানজটের অন্যতম কারণ। গত কয়েকদিন ধরে বন্দর ও বিমানবন্দরমুখী সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টির ফলে বিভিন্ন ভাবে সমলোচনার মুখে পড়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

আজ শনিবার (২০ জুলাই) দুপুরে বন্দর ভবনের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে যানজটের কারণ তুলে ধরেন।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, সাম্প্রতিক টানা বৃষ্টি ও বন্দরের বাইরে বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টির পাশাপাশি পোর্ট কানেকটিং (পিসি) সড়ক সংস্কার, বারিক বিল্ডিং থেকে ফকিরহাট পর্যন্ত ওয়াসার পাইপ লাইন ও সিমেন্ট ক্রসিং এলাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের জন্য মূল সড়ক সংকুচিত হয়ে যানজট বেড়েছে। অন্যদিকে বন্দরে ট্রাক, ট্রেইলার ও কাভার্ডভ্যান ঢোকার বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় বন্দরের বাইরে যানজটের সৃষ্টি হয়। যা কোনো অবস্থাতেই চট্টগ্রাম বন্দরের কারণে সৃষ্টি হয়নি। এ সময় বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি ৪ হাজার টিইইউসের (২০ ফুট দীর্ঘ হিসেবে) কম ছিল। তাই তীব্র যানজটের জন্য মূলত প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্দরের যানবাহন ও গণপরিবহনের একই সড়কে চলাচল ও শহরের জন্য বিকল্প সড়ক তৈরি না হওয়াকে চিহ্নিত করা যায়।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, বন্দরের বাইরের তীব্র যানজট নিরসনে নগরের জন্য প্রস্তাবিত দুইটি রিং রোড বাস্তবায়ন জরুরি। একটি হলো আগ্রাবাদ এক্সেস রোড-বড়পুল-আনন্দবাজার-ইপিজেড সড়ক। অন্যটি জিইসি-সাগরিকা-বেড়িবাঁধ সড়ক। এ সড়ক দুইটি দ্রুত হলে চট্টগ্রাম শহরের লাইফ লাইন খ্যাত এয়ারপোর্ট-আগ্রাবাদ-লালখানবাজার সড়কে যানজটের তীব্রতা কমে আসবে। বন্দরের পক্ষ থেকে যানজট নিরসনে বে টার্মিনাল ইয়ার্ড নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করেছে। সেখানে এফসিএল কনটেইনারের পণ্য ডেলিভারির পাশাপাশি একটি আধুনিক ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ করছে।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর পর গত ৬ মে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৬০০ টিইইউ’স কনটেইনার ও কার্গো ডেলিভারি হয়। রমজানে গত ১২ জুলাই ৪ হাজার ৮০০ টিইইউ’স কনটেইনার ডেলিভারি হয়। এসব সময়ে বন্দরের বাইরে তীব্র যানজট দেখা যায়নি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বন্দরের সদস্য (প্রশাসন) জাফর আলম, সদস্য (হারবার অ্যান্ড মেরিন), পরিচালক (নিরাপত্তা), সচিব ওমর ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.