কাবিননামায় ‘কুমারী’ শব্দটি থাকছে না

0

সিটি নিউজ ডেস্ক :  কাবিননামার ফরমের ৫ নম্বর কলামে এখন থেকে ‘কুমারী’ শব্দটি আর থাকবে না। তার স্থলে এখন থেকে ‘অবিবাহিত’ লিখতে হবে।

রোববার (২৫ আগস্ট) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।

কাবিননামার ফরমে ৪ এর ‘ক’ উপধারা সংযোজন করে ছেলেদের ক্ষেত্রে বিবাহিত, অবিবাহিত, তালাকপ্রাপ্ত কি— না তা লিপিবদ্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

এ সংক্রান্ত জারি করা রুল নিস্পত্তি করে এসব আদেশ দেয় হয় আদালত।

রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না এবং আইনুন্নাহার লিপি। সম্পূরক আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইশরাত হাসান।

এর আগে বিয়ের কাবিননামার ফরমে কনে ‘কুমারী’, ‘বিধবা’ ও ‘তালাক’প্রাপ্ত সংক্রান্ত ৫ নম্বর কলাম থাকার বৈধতা নিয়ে রিট করা হয়। রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালে কাবিননামার ফরমের (বাংলাদেশ ফরম নম্বর-১৬০০ ও ১৬০১) পাঁচ নম্বর কলাম কেনো বৈষম্যমূলক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না— তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কেনো ‘কুমারী’ শব্দটি বিলোপ করে কাবিননামা সংশোধন করা এবং বরের বৈবাহিক অবস্থা-সম্পর্কিত কোনও ক্রমিক কাবিননামায় উল্লেখ করা হবে না— তাও জানতে চাওয়া হয়। বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের সময় উভয় পক্ষের ছবি কাবিননামায় কেনো সংযুক্ত করা হবে না সে বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়।

রুল শুনানির এক পর্যায়ে অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান কাবিননামায় মেয়েদের তথ্যের পাশাপাশি ছেলেরা বিবাহিত, অবিবাহিত বা তালাকপ্রাপ্ত কি— না তা অন্তর্ভূক্তির জন্য সম্পূরক আবেদন করেন।

শুনানিতে এ বিষয়ে মতামত দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বেলায়েত হোসেন। পরে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘৫ নম্বর কলামে এটা থাকা উচিত নয়। কারণ ব্যক্তির মর্যাদা ও গোপনীয়তাকে ক্ষু্ণ্ণ করে। যা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এছাড়া ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী এগুলো থাকা বাধ্যতামূলক নয়। মুসলিম শরীয়তে এ ধরনের শর্ত নেই।’

ওই অনুচ্ছেদটি বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে বাংলাদেশ লিগ্যালঅ্যাইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট, নারীপক্ষ এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ২০১৪ সালে ৭ সেপ্টেম্বর রিট আবেদন করে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.